কলকাতা : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ও অমিত শাহ (Amit Shah) সম্পর্কে কু-মন্তব্যের জের। মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রর (TMC MLA Sabitri Mitra) বিরুদ্ধে বিধানসভায় বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। অধ্যক্ষ আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। পাল্টা বিক্ষোভ তৃণমূল বিধায়কদেরও। 'হাউসের বাইরে কে কী বলবেন সেটা নিয়ে আলোচনা করা যায় না’, বলে প্রস্তাব খারিজ করে দিন স্পিকার।
বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, "আমরা মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিলাম। কিন্তু, অধ্যক্ষ বললেন এটা স্টেট সাবজেক্ট নয়। বিধানসভার মধ্যে এটা আলোচনা করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে। দুর্যোধন ও দুঃশাসন বলা হচ্ছে। তাঁরা মহিলাদের বস্ত্র হরণ করছেন। এই কথাটা বলার পরেও, অধ্যক্ষ এতটা বায়াসড, উনি বলছেন এই বিষয়টা আলোচনা করা যাবে না। এটা স্টেট সাবজেক্ট নয়। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করলে সেটা রাজ্যের বিষয় নয় ! কী করে তা হবে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে অপমান করেন, প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হোঁদল কুতকুত, কিম্ভুত কিমাকার, পেটে দড়ি বেঁধে নিয়ে আসব-পশ্চিবঙ্গের সংস্কৃতি ধুলিস্মাৎ করে দেওয়ার সংস্কৃতি শুরু করেছেন উনি। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিভির একটি প্রোগ্রামে মনমোহন সিংজিকেও ছাড়েননি। এক মাসও হয়নি, অখিল গিরি অপমান করেছেন রাষ্ট্রপতিকে। তাঁরও কোনও শাস্তি হয়নি। তাই এখানে আজ এই মহিলা মাননীয় বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র যখন বলতে উঠলেন, আমরা ভাবলাম তিনি বোধহয় ক্ষমা চাইবেন। তিনি উঠে বলছেন, আমার কথাগুলির ভুল ট্যুইট করা হয়েছে। উনি আবার রিট্যুইট করছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে গুজরাতের কোনও অবদান ছিল না। তাহলে মহাত্মা গাঁধী কোথা থেকে ? তামিলনাড়ু থেকে ? নাকি কাশ্মীর থেকে ? কোন রাজ্য থেকে মহাত্মা গাঁধী এসেছেন ? সর্দার বল্লভভাই পটেল কোন রাজ্য থেকে ? তাঁরা কি স্বাধীনতা সংগ্রামী নন ? কী লজ্জার ! যেহেতু তাঁরা তৃণমূল, তাঁদের কে এই অধিকার দিয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্পর্কে এই কথা বলার। মন্ত্রী যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা সাবিত্রী মিত্রকে বলছেন, আরও বলো, আরও বলো। লজ্জা লাগছে যে, আমি এই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার আমি একজন সদস্য। আমি লজ্জিত যে, আজ এই তৃণমূল-বিজেপির এই রাজনীতির জন্য় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছোট করা হচ্ছে। ধিক্কার জানাই। আমার কোনও ভাষা নেই।"
কী বলেন সাবিত্রী মিত্র ?
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি -অমিত শাহ-কে দুর্যোধন, দুঃশাসন বলে কটাক্ষ করেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। মালদার রতুয়ায় সাবিত্রী মিত্র (Sabitri Mitra) বলেছেন, ‘মমতাদিদিকে যদি আপনি শূর্পনখা বলেন, তাহলে আমি বলব অমিত শাহজিকে, আমি বলব মোদিজিকে, আমি বলব আরও বিজেপির যাঁরা নেতা আছেন পশ্চিমবাংলায়, আপনারা হচ্ছেন দুর্যোধন-দুঃশাসন। খালি স্ত্রীর বস্ত্র হরণ করা ছাড়া আপনাদের কোনও কাজ নেই।’