পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা:  ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে (pregnant woman) লাথি (assault) মারার প্রতিবাদে সোমবার নারকেলডাঙা থানা (narkeldanga ps) ঘেরাও (agitation) করল বিজেপি (BJP)। দলের মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চা কর্মীরা এদিন থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ (protest) দেখান। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ধিক্কার-স্লোগান ওঠে সেখানে। মোটের উপর দাবি একটাই, যাঁরা এই কাজ ঘটিয়েছেন, তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। উল্লেখ্য, নারকেলডাঙার এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক পরেশ পালের দিকে। অভিযুক্ত শাসকদলের কাউন্সিলরও। যদিও সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। 


কী বলছে বিজেপি?
বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী বলেন, 'যদি বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটের মধ্যেই গণ্ডগোল হবে, তা হলে সেখানেই শেষ হল না কেন? মামলাটি আদালতে গিয়েছিল, তা সত্ত্বেও অন্তঃসত্ত্বাকে অত্যাচার করা হল কেন? পুলিশ বা তৃণমূল কী বলতে চায়?' সঙ্গে সংযোজন, 'আমাদের একটাই দাবি। দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যেমন গ্রেফতার করা হয়েছে, তেমন পরেশ পাল বা হরিদাস পাল যে এই কাজ করিয়েছে তাকে গ্রেফতার করা হোক।' একই সঙ্গে পাপিয়া ঘোষেরও গ্রেফতারিতে সুর চড়ান তাঁরা। বিজেপি মহিলা মোর্চার উত্তর কলকাতার সভানেত্রী পূর্ণিমা চক্রবর্তীর আবার অভিযোগ, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক জন মহিলা। তাও মহিলাদের নিরাপত্তা নেই।... স্রেফ বিজেপি করার অপরাধে, তাঁকে মারধর করে, ৮ মাসের গর্ভস্থ শিশুকে নষ্ট করা হয়েছে। বিজেপি কোনওদিন ক্ষমা করবে না।' প্রসঙ্গত, নারকেলডাঙার ওই ঘটনার প্রতিবাদে যে থানা ঘেরাও হবে সে কথা গত কাল রাতেই জানিয়েছিল বিজেপি। এদিন দেখা যায়, থানার আশপাশে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা চত্বর। তার সামনেই বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। অন্য দিকে আক্রান্তকে দেখতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধিদল। 


যা হল এদিন...
নারকেলডাঙায় ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে পেটে লাথি মারার অভিযোগে এবার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত প্রোমোটার-সহ ৮ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। শ্লীলতাহানির ধারাও যুক্ত করা হয়। তবে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানেননি ডিসি ইএসডি প্রিয়ব্রত রায়। বরং তাঁর দাবি, অভিযোগকারীরা ফের কোনও অভিযোগ জানালে নতুন মামলা রুজু হবে। অন্য দিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, 'নারকেলডাঙা থানা এলাকায় কোনও বিজেপি সমর্থকের উপর তৃণমূলের কোনও হামলা হয়নি শুধু নয়, এই ঘটনাটির সঙ্গে বিজেপি, তৃণমূল বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।' তাঁর দাবি, এটা বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের নিজস্ব সমস্যা। তাতে রাজনৈতিক রং চড়ানোর চেষ্টা চলছে। সঙ্গে সংযোজন, 'কাশীপুরের মিথ্যাচারের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এখানে।'


আরও পড়ুন:অন্তঃসত্ত্বাকে লাথির মারায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু, যুক্ত শ্লীলতাহানির ধারাও