মুন্না আগরওয়াল, দক্ষিণ দিনাজপুর: অন্য রূপে রাজ্য বিজেপি সভাপতি (Sukanta Majumdar)? এদিন, শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে পড়ুয়াদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটালেন সুকান্ত মজুমদার। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মাটিতে বসে মিড ডে মিলও খেলেন।
কী করলেন সুকান্ত?
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের কাটনা আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ে এদিন শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট টেলিভিশন অভিনেতা কৌশিক রায় (Actor Koushik Roy)। সুকান্ত মজুমদার সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের নাচ-গান উপভোগ করার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে বসে মিড ডে মিল খান সুকান্ত মজুমদার। স্কুলের সমস্ত পড়ুয়াদের পেন উপহার দিয়েছেন তিনি।
শিক্ষক দিবস নিয়ে...
আজ, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস উদযাপন হল গোটা দেশে। দিনটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেকটা ইতিহাস এবং অবশ্য়ই ড.সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের নাম। ছাত্ররা চেয়েছিলেন তাঁর জন্মদিন পালন করতে। কিন্তু তাতে একেবারেই না পসন্দ ছিল ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের। শিক্ষক দিবস পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি নিজেই। সেই শুরু। একজন প্রকৃত মানুষ তৈরির প্রথম দায়িত্ব থাকে তাঁদের উপর। তাঁরা শিক্ষক। তাঁরা সমাজ গড়ার কারিগর। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। জীবন গড়ার প্রাথমিক কাজ যাঁরা তাঁরা হলেন শিক্ষক। ছাত্র জীবন তো বটেই সারা জীবনে সাফল্যের প্রাথমিক বীজ বপন করে থাকেন তাঁরাই।দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মবার্ষিকীতে এই শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। ১৮৮৮ সালে জন্ম দার্শনিক ‘ভারতরত্ন’ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের।সারা বিশ্বে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে ৫ অক্টোবর। কিন্তু এদেশে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালনেরও একটা ইতিহাস রয়েছে।১৯৬২ সালে দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। সেই বছরই তাঁর ছাত্ররা ৫ সেপ্টেম্বর বিশেষ দিন হিসেবে পালনের আবেদন জানান।তাতে রাজি হননি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি। সমাজে শিক্ষকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালনের পরামর্শ দেন।রাধাকৃষ্ণন বলেছিলেন, ‘আমি খুব গর্ব অনুভব করব, যদি আমার জন্মদিনের পরিবর্তে এই দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।’ সেই থেকেই ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন শুরু।দেশের নানা প্রান্তে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই দিনটি পালন করা হয়। শিক্ষকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানের।সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন বলেছিলেন, 'বই হল সেই মাধ্যম যার মাধ্যমে আমরা সংস্কৃতির মাঝে সেতু তৈরি করি।'সমাজের শিক্ষকদের প্রতি বার্তায় দেশের প্রথম উপ রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, 'প্রকৃত শিক্ষক তাঁরাই যারা আমাদের নিজেদের জন্য চিন্তা করতে সাহায্য করে।'
আরও পড়ুন:'চলে যেতে হবে, কিন্তু যাওয়ার আগে কিছু করে যাব', এজলাসেই মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের