দক্ষিণ ২৪ পরগনা : অনুব্রত মণ্ডলের ভাষা যেন সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মুখে ! এবার পুলিশকে পেটানোর দাওয়াই বিজেপির রাজ্য সভাপতির (BJP State President)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের সভায় সুকান্ত মজুমদারের হঁশিয়ারি, 'আগামী দিনে পুলিশ সিধে না হলে, পিটিয়ে সিধে করব। দু'দিন আগে মন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুর করেছে গ্রামবাসীরা। বাংলার মানুষ জেগে উঠছে'। ২০১৩ সালে একই ভাবে পুলিশকে বোমা মারার দাওয়াই দিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)।
বিষ্ণুপুরের সভা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হুঙ্কার, 'আগামী দিন আসছে। দিন পরিবর্তন হচ্ছে। পুলিশ যদি সিধে না হয়, আমরা পিটিয়ে সিধে বানাব। বাংলার মানুষ সেই দিকে এগোচ্ছে। সময় এখনও আছে, সিধে হয়ে যায়। দু'দিন আগে মন্ত্রীর বাড়িতে মানুষ ঢিল ছুড়েছে। পুকুরে মাছ চুরি করতে এসে ধরা পড়েছিল। গ্রামের লোক বাড়ি ঘেরাও করে, ভাঙচুর চালায়।' তৃণমূলকে কটাক্ষের সুরও শোনা গেছে তাঁর গলাতে। সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'গ্রামবাসীরা বলছে তোমরা কয়লা-গরু চুরি করবে, আর আমরা মাছ চুরি করলেই দোষ। ওই লোকজনই ভোট দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিল।'
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারি দেওয়ার রেশ আগেও দেখা গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। গতমাসেই দলীয় কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগে থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল করে খেজুরি থানায় গিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। ওসি না থাকায় পুলিশ আধিকারিকদের ধমক দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। থানায় ঢুকে পুলিশকে হুঙ্কারের সুরে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'পুলিশ যা করেছে, তার ফল ভুগতে হবে, সব কিছু রেকর্ড থাকবে। সরকার বিজেপির হবে, আমাদের অধীনে কাজ করতে হবে।'
গত সেপ্টেম্বরে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সামনেই মেদিনীপুরে বিজেপি মুখপাত্র অরূপ দাস হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, '২০২১-এর বিধানসভায় অত্যাচারের হিসাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া হবে। লোকসভা ভোটে খড়গপুরে দিলীপ ঘোষ লড়াই করবেন। ভোট লুঠ করতে এলে পুলিশ থেকে তৃণমূল, মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে। যারা ভোট লুঠ করতে আসবে তাদের বুকে গুলি করে শ্মশানে পাঠানো হবে'।