সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল (Kolkata BJP Youth Morcha Rally)। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল। অন্যদিকে, শোভাবাজারে বিজেপি যুব মোর্চার অবস্থান বিক্ষোভ। প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও উঠে আসে সন্দেশখালিকাণ্ডের কথা। স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস নিয়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করেন।


আলোচনায় সন্দেশখালি...
শাহ বলেন, 'সন্দেশখালিতে হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে', বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত মাসের গোড়া থেকে এই এলাকায় যা যা ঘটার অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে বার বার সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে বিজেপির পদাধিকারী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের।  দিনছয়েক আগে কেন্দ্রীয় শিশু ও নারীকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি যেমন অভিযোগ করেছিলেন, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতার গুন্ডারা হিন্দু পরিবারের অল্পবয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করছে।...বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলেরা গুন্ডারা দেখে আসে, কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী, কোন মেয়েদের বয়স কম। তাঁদের স্বামীদের বলা হয়, স্বামী হলেও তাঁঁদের কোনও অধিকার নেই।' সংবাদমাধ্যমের কাছে গ্রামের মহিলারাই এই ধরনের অভিযোগ করেন জানিয়ে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রীর সংযোজন, 'যতক্ষণ তাদের মন না ভরবে, ততক্ষণ ওই মহিলাদের রেহাই নেই।' আমেঠির বিজেপি সাংসদের মতে, 'হিন্দু পরিবারের মেয়েদের ধর্ষণের জন্য চিহ্নিত করা হত... এরা সবাই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লোক।' গত কাল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য, পরিবার-কল্যাণ এবং আদিবাসী দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার আবার মনে করান, সন্দেশখালির পরিস্থিতির উপর কেন্দ্র নজর রাখছে।
অন্য দিকে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সন্দেশখালি অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল বসিরহাট। টাকিতে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল, অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়ের। 'নাটক করেছেন', কটাক্ষ হানেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এসবের মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে তলব করে সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় রাজীব কুমারকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার পরই, রাজীব কুমার-সহ ৩ পুলিশ অফিসারকে তলব করে সংসদীয় কমিটি। রাজীব কুমার ছাড়াও বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকেও ডেকে পাঠানো হয়। 


আরও পড়ুন:রাত পেরোতেই উঠল পিচ, রাস্তা তৈরিতে 'নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে' কাজ বন্ধ এই অংশে..