ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ইডেনে (Eden) ভারত (India)-দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) ম্যাচের টিকিট (Match Ticket) কালোবাজারি নিয়ে তোলপাড়। প্রতিবাদে টিকিট প্রত্যাখ্যান রাজ্যপালের (Governor)। ঘটনায় গ্রেফতার বেড়ে ১৯। পুলিশের (West Bengal Police) তৃতীয় নোটিসের পর ময়দান থানায় এলেন সিএবি (CAB) আধিকারিক।


টিকিটের কালোবাজারিকাণ্ডে কালো হাত কার? এ-প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই যখন তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ, তখনই এই ঘটনার প্রতিবাদে তাঁকে পাঠানো ম্যাচের টিকিট প্রত্যাখ্যান করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, ক্রিকেটভক্তদের ক্ষোভ মেটাতে রাজভবনে জায়েন্ট স্ক্রিনে ম্যাচ দেখানোরও ব্যবস্থা হচ্ছে। এর মধ্যেই টিকিটকাণ্ড নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষও। 


এদিকে, শনিবারই ময়দান থানায় হাজিরা দিলেন সিএবি সচিব। টিকিটের কালোবাজারিকাণ্ডে কলকাতা পুলিশের তৃতীয় নোটিস পাওয়ার পর হাজিরা দিলেন তিনি। ইডেনের ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিটের কালোবাজারিকাণ্ডে শুক্রবারই সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠায় কলকাতা পুলিশ। প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে নিয়ামক সংস্থার কোনও প্রতিনিধিকে থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। 


২ টি নোটিস পাওয়ার পর সিএবির তরফে জানানো হয়, ইডেনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ব্যস্ততার কারণে কাউকে থানায় পাঠানো সম্ভব হয়নি। এরপর, শুক্রবার রাতে ফের একটি নোটিস পাঠানো হয়।                                                           


তারপরই, শনিবার বিকেল ৫ টা নাগাদ ময়দান থানায় এসে হাজিরা দেন সিএবি সচিব নরেশ ওঝা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও এক প্রতিনিধি। আর, এদিনই পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।  


আরও পড়ুন, ইডেনে সামনে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, কেমন হবে ভারতের প্রথম একাদশ?


কালোবাজারিকাণ্ডে তোলপাড় শহর গ্রেফতার ১৯। বাজেয়াপ্ত ১০৮ টি টিকিট, দাবি কলকাতা পুলিশের। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই বোঝা যাচ্ছে ষড়যন্ত্রের জাল আরও গভীরে বিস্তৃত। এই ঘটনায় আরও ৩ টি নতুন এফআইআর করেছে কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখা। 


টিকিটের কালোবাজারির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৭ টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার ১৯ জন। বাজেয়াপ্ত ১০৮ টি টিকিট। এই পরিস্থিতিতেই ইডেনে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রবিবারের মেগা-ম্যাচ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা। ম্যাচের দিন যাতে কালোবাজারিরা যাতে ফের মাথাচাড়া না দিতে পারে, সেদিকেই নজর পুলিশ-প্রশাসনের।