Hair Care Tips: অনেকের চুল জন্মগতভাবে কোঁকড়ানো (Curly Hair) হয়। অনেকে আবার শখেই হেয়ার কার্ল (Hair Curl) করান। কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে সাধারণ চুলের তুলনায় একটু বেশিই যত্নের (Hair Care Tips) প্রয়োজন। কী কী নিয়ম মেনে চললে আপনার চুলে কোঁকড়ানো ভাব আরও স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাবে কিংবা যাঁরা হেয়ার কার্ল করিয়েছেন তাঁদের চুলের কোঁকড়ানো ভাব নষ্ট হবে না, সেগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যদি আপনার চুল এমনিই কোঁকড়ানো ধরনের হয় তাহলে ভাল। হেয়ার স্টাইলিং হিসেবে চুল কোঁকড়ানো না করাই চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক। 



  • কোঁকড়ানো চুল রুক্ষ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে গেলে তা দেখতে খুবই বাজে লাগে। চুলে লালচে ভাব দেখা যায়। চুলের কোঁকড়ানো ভাবও ভালভাবে বোঝা যায় না।

  • চুলের কোঁকড়ানো ভাব ভালভাবে বোঝানোর জন্য চুলে ময়শ্চারাইজড ভাব অর্থাৎ আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি। এর জন্য চুলের পাশপাশি খেয়ায়ল রাখা প্রয়োজন মাথার তালু অর্থাৎ স্ক্যাল্পের।

  • চুলে রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করে আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার এবং সিরাম ব্যবহার করা প্রয়োজন। যাঁদের চুল কোঁকড়ানো এবং নিয়মিত শ্যাম্পু করেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলি বিশেষভাবে প্রযোজ্য।

  • কোঁকড়ানো চুল ভালভাবে আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নেওয়া প্রয়োজন স্নানের আগে এবং পরে। চুলে কন্ডিশনার বা সিরাম লাগানোর সময় আঙুল বুলিয়ে চুলে প্রোডাক্ট লাগাতে হবে। ভেজা চুলে চিরুনি কোনওভাবেই দেবেন না।

  • কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে তা ভালভাবে পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। যাঁরা বাইরে বেরোন, তাঁদের প্রতিদিন শ্যাম্পু করা দরকার। সেই সঙ্গে চুলে রুক্ষ ও শুষ্ক ভাব আটকাতে দরকার অয়েল ম্যাসাজ।

  • কোঁকড়ানো চুলে সহজে জট পড়ে যায়। তাই হেয়ার সিরাম ব্যবহার করা প্রয়োজন। ভেজা চুলে সিরাম লাগানোর সময় সতর্ক থাকুন। দরকার পড়লে চুল শুকিয়ে নিন এবং তারপর হেয়ার সিরাম লাগান।

  • কোঁকড়ানো চুল ভেজা থাকলে তা জোরে ঘষে মোছার চেষ্টা করবেন না। বরং নরম সুতির গামছা বা নরম তোয়ালে দিয়ে চুলের জল শুকিয়ে নিন। তারপর চুলের ফাঁকে আলতো করে আঙুল বুলিয়ে জট ছাড়িয়ে নিতে হবে।

  • কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে চুল শুকনোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার বা ব্লোয়ার এইসব হিটিং টুল কিংবা বিভিন্ন হেয়ার স্টাইলিং টূল ব্যবহার না করাই চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক।


আরও পড়ুন- রাস্তাঘাটে ধুলোবালি থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?