গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: যুবকের রক্তাক্ত দেহ (Blood Drenched Body) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। এদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই বিষ্ণুপুর থানার আমতলা অটো স্ট্যান্ডের পাশে দেহটি (Body Recovery) উদ্ধার হয়। পরিবার ও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মদের আসরে বচসার জেরে খুন হয়ে থাকতে পারেন যুবক।  মৃতের নাম বিনোদ সাউ। ওই এলাকাতেই ভাড়া থাকতেন তিনি।


কী জানা গেল? 
বছর চল্লিশের বিনোদের পরিবার জানাচ্ছে, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেননি তিনি। আর এদিন ভোরে তাঁর মৃত্যুসংবাদ পায় পরিবারের লোকজন। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, তাঁকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে।যুবকের মাথাও থেঁতলে গিয়েছে। পুলিশের দাবি, তাঁর দেহের পাশে পড়েছিল মদের বোতল, খাবারের অবশিষ্ট অংশ। পেশায় গাড়ির খালাসি বিনোদকে কে বা কারা খুন করল, জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।  ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটকও করা হয়েছে। বিনোদের মা গায়ত্রী সাউয়ের দাবি, মদ খাওয়া নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে কারা খুন করেছে বলতে পারব না। এদিন ভোরে স্থানীয়রাই দেহটি দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর গেলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এবার তা ময়নাতদন্তে পাঠানোর কথা। এর আগেও মদের আসরে বচসার জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে এই রাজ্যে।


একই ধরনের ঘটনা আগেও...
চলতি মাসের গোড়ার দিকেই স্ট্র্যান্ড রোড এলাকায় জেসপ গলিতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত্যু হয় শচীন রায় নামে এক ব্যবসায়ীর। জানা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে মদের আসরে বসেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, সেখানে উপস্থিত হয় আরেকটি দল। মত্ত অবস্থায় দুই দলের মধ্য়ে হাতাহাতি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর মদের আসরেই শচীনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ও রাস্তায় তাঁর বন্ধু সোনুকে জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে শচীনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কয়েকজনকে আটক করে বড়বাজার থানার পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পূর্ব বর্ধমানের হটুদেওয়ান এলাকায় প্রায় একই অভিযোগ ওঠে ইসরাফিল শেখের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মদের আসরে 'বন্ধু' ইসরাফিলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের শেখ বাদশা। অভিযোগ, ৩০ টাকার জন্য তাঁকে বাঁশ দিয়ে পেটাতে শুরু করেন ইসরাফিল। গুরুতর জখম যুবককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। খুনের অভিযোগে শেখ বাদশার বন্ধু ইসরাফিলকে গ্রেফতার করেছিল বর্ধমান থানার পুলিশ। তবে পাওনা টাকার জন্য নাকি অন্য কোন কারণে খুন, সেটিও খতিয়ে দেখে পুলিশ।  


আরও পড়ুন:এবার জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক, ভারতীয় রাজনীতিতে পদযাত্রা করে সাফল্য পেয়েছেন কারা ?