সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: একসঙ্গে মা ও দুই সন্তানের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। ঘটনাটি ঘটেছে ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শঙ্করপুর এলাকায়। পুলিশ সুত্রে খবর, মৃতের নাম ময়না বর্মন। ২৫ বছরের ওই যুুবতীর দুই ছেলেমেয়েরও দেহ মিলেছে বলে খবর। তাদের নাম মৌমিতা বর্মন ও মিলন বর্মন বলে জেনেছে পুলিশ। মৌমিতার বয়স ৫ বছর ও মিলনের বয়স ৪ বছর বলে প্রাথমিক ভাবে খবর। দুই সন্তান-সহ মায়ের দেহ উদ্ধার হলে খবর দেওয়া হয় কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশকে।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ময়নার পরিবারের অভিযোগ, আট বছর আগে সামাজিক ভাবে শশীমোহন ও ময়নার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। অতীতে সালিশি সভার মধ্য দিয়ে তা সমাধানের চেষ্টাও করা হয়েছিল। মৃত গৃহবধূ দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুর গোপাল বর্মন ও  শাশুড়ি শ্যামলী বর্মনের সঙ্গেই থাকতেন। কাজের সূত্রে ময়নার স্বামী শশীমোহন বর্মন ভিন রাজ্যে কাজ করেন। মৃতার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, দুই ননদ-সহ শ্বশুর শাশুড়ি অশান্তি করতেন। তবে কী ভাবে ওই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তাও ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শশুর ও শাশুড়িকে থানায় নিয়ে যায় কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ।

এমন অভিযোগ আগেও...
গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু ঘিরে আগেও হইচই ছড়িয়েছে। গত বছর অগাস্টে লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়িতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গৃহবধূর। খুনের অভিযোগে আটক হন স্বামী,শ্বশুর ও ননদ । পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের একাধিক জায়গায় আঁচড় ও আঘাতের চিহ্ন মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই গৃহবধূর নাম পায়েল রায়। রবিবার সন্ধেবেলায় ঘটনাটি ঘটে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ জামাই ও শশুড়বাড়ির লোকজন মিলে খুন করেছে মেয়েকে। পায়েলের মায়ের দাবি, জামাই সন্দেহবাতিক। . মেয়েকে সন্দেহ করতেন। এর আগেও এই নিয়ে মারধর করেছেন। এবার খুন, অভিযোগ পরিবারের। রাতে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। যদিও স্বামীর পাল্টা দাবি, স্ত্রীর একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। । সেই নিয়ে ঝামেলাও হত দুজনের। গত কালও এই নিয়ে অশান্তি হয়। সন্ধ্যাবেলায় তিনি যখন বাথরুমে, তখনই সম্ভবত আত্মঘাতী হন পায়েল, দাবি সুমনের। তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী, শ্বশুর ও ননদকে রাতে লেকটাউন থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটকও করা হয়েছে। আজ দেহ ময়নাতদন্ত হবে। কী  ভাবে মৃত্যু সেটা খতিয়ে দেখছে লেকটাউন থানার পুলিশ। 


আরও পড়ুন:১৭ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রতর জেল হেফাজত, নির্দেশ আসানসোলের বিশেষ আদালতের