ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: মন্দারমণির (Mandarmani Body Recovery) কাছে সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার বিবস্ত্র দেহ। মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। শঙ্করপুর থেকে তাজপুর পর্যন্ত তৈরি হয়েছে মেরিন ড্রাইভ (Marine Drive)। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেরিন ড্রাইভ তৈরি হওয়ায় অকেজো হয়ে গেছে ল্যাম্পপোস্ট। আর সেই অন্ধকারের সুযোগে এলাকায় দুষ্কৃতী আনাগোনা বা়ড়ছে। মহিলাকে বাইরে থেকে এনে খুন করা হয়েছে বলেও স্থানীয়দের আশঙ্কা। কীভাবে মৃত্যু হল মহিলার খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মহিলার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। কী ভাবে মৃত্য়ু সেটাও স্পষ্ট নয়। তবে মৃত যে স্থানীয় বাসিন্দা নন, সেটা আপাতত বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু তাঁর দেহে প্রাথমিক ভাবে কোনও আঘাত পায়নি পুলিশ। ফলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব নয়। দেহে সেভাবে পচন ধরেনি। যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, সম্ভবত, ২৪ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এলাকাবাসীদের দাবি, শঙ্করপুর থেকে তাজপুর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার ল্যাম্পপোস্টগুলি অকেজো। ফলে সেই সুযোগে অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়ছে। ছিনতাই থেকে বাইক রেসিংয়ের মতো সমস্যাও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, জানান তাঁরা। এলাকার বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী অখিল গিরি জানাচ্ছেন, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদকে বিষয়টি তাঁরা জানিয়েছেন। আলোগুলি যাতে খুব তাড়াতাড়ি চালু করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি সৈকতে নজরদারির বিষয়টিও যাতে বাড়ানো হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনকে জানাবেন তিনি। 


আগেও যেখানে...
এর আগে, গত বছর মে মাসে, ময়ূরেশ্বরে অস্বাভাবিক মৃত্যু মহিলার ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। ফাঁকাবাড়িতে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় তাঁর উদ্ধার দেহ মেলে। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন মৃতের ছেলে। থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। জানা যায়. মৃতের মহিলার নাম সুন্দরী বাগদি। বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। উলকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বহড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন, ছেলে উজ্জ্বল বাগদি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফিরে রাতে ঘরের মধ্যে তাঁর নিথর দেহ দেখতে পান বলে জানান তিনি। উজ্জ্বলের দাবি, ঘটনার দিন রাতে পাশের গ্রামে ধর্মরাজ পুজো উপলক্ষে আয়োজিত বাউল গান শুনতে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরেন রাত দেড়টা নাগাদ। তখনই শোওয়ার ঘরে বিছানার উপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন মায়ের দেহ। মায়ের নিথর দেহে কোনও জামাকাপড় ছিল না, শুধু গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল বলে জানান তিনি। মাকে ওই অবস্থায় দেখে চিৎকার করে ওঠেন ছেলে। তাতেই পাড়া-পড়শি ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় ময়ূরেশ্বর থানায়। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় মৃতদেহটি। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। 
এবার ঘটনা মন্দারমণির সৈকতে। কিন্তু ওই মহিলা? কী ভাবে তাঁর দেহ সেখানে এল? কে তাঁর সঙ্গে এমন নির্মম আচরণ করে? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।  


আরও পড়ুন:জেলবন্দি অনুব্রত কন্যার জামিনের আবেদনের শুনানি পিছোল ৪ মাস