বীরভূম: জেলবন্দি অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mandal) জামিনের আবেদনের শুনানি পিছোল ৪ মাস। দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) সুকন্যার জামিনের আবেদনের শুনানি হবে ২০২৪-এর ১০ জানুয়ারি। এই আদালতেই জামিনের জন্য আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডলও। সেই জামিনের আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। গরু পাচার মামলায় (Cattle Scam) তিহাড়ে আপাতত বন্দি অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডল।


সম্প্রতি বাংলা থেকে গরু পাচার মামলা সরে গিয়েছে দিল্লিতে। আসানসোলের সিবিআই আদালত থেকে মামলা গিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। ২০০৫ সালে জারি করা অর্থমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিকে হাতিয়ার করে আবেদন ইডি-র। বিজ্ঞপ্তিতে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ৪৪/১সি ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে পারে ইডি বলে উল্লেখ। আদালতে ইডির পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতে সন্তোষপ্রকাশ বিচারকের। তারপরই গরুপাচার মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পাঠানোর নির্দেশ।


প্রসঙ্গত, একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতবছর গ্রেফতার হয়েছিলেন শাসকদলের হেভিওয়েট পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের অপর হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মন্ডল। সেসময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেয়েছিলেন অনুব্রত মন্ডল। এদিকে একই দলে থেকেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেসময় পাশে পাননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে এতদিনে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। আর পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই ভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছিল অনুব্রত গড়ে।


পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে গরুপাচার মামলায় একটি পৃথক চিত্র সামনে এসেছিল। সেসময় একদিকে তখন দোড়গড়ায় ছিল পঞ্চায়েত ভোট। যখন অনুব্রতহীন বীরভূমে জনসংযোগ যাত্রায় ঝড় তুলছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ঠিক তখনই অন্যভাবে দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মন্ডলকে। বেতন (Salary) পাচ্ছেন না কর্মীরা, চাল কলের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তিহাড় থেকে আসানসোল আদালতে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।


আরও পড়ুন, 'অন্য চাকরি পায় না, তাই শিক্ষকতা, সেই জন্যেই প্রাথমিকে এত দুর্নীতি', মন্তব্য সৌগতর


অপরদিকে, দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েনের পর দোলপূর্ণিমার দিন দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে। ইডি হেফাজত শেষে তিহাড় জেলে যান বীরভূমের দাপুটে জেলা তৃণমূল সভাপতি। এদিকে গ্রেফতার হন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। তাঁকেও তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। তবে আসানসোল থেকে তিহাড় জেলে যাওয়ার পর, ফের আসানসোলে ফেরার জন্য় দিল্লির আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।