তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের (bloody body recovery) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ায় (Bankura)। আজ সকালে পাত্রসায়ের থানার হাটকৃষ্ণনগর গ্রাম লাগোয়া কেয়াদিঘি এলাকার আলু জমিতে এক ব্যক্তির দেহ  fish trader body recovery) পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় আলুচাষিরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিনোদ দলুই। একাংশের অনুমান তাঁকে খুন করা হয়েছে।


কী জানা গেল?
বিনোদের দেহের হদিস মিলতেই খবর যায় পাত্রসায়র থানায়। দ্রুত পুলিশ আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়ি হাটকৃষ্ণনগর গ্রামে। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী বিনোদ গতকাল সন্ধেবেলা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। দেহটি যেখানে পড়ে ছিল তার আশপাশে মাটিতে থাকা দাগ দেখে গ্রামবাসীদের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃতের মাথায় একাধিক গভীর ক্ষতও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কে বা কারা কেন বিনোদকে খুন করল, সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ও বিনোদের পরিবার। গোটা ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


অতীতেও নৃশংস খুন...
গত বছর এপ্রিলে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে এক মাছ ব্যবসায়ীকে খুন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। তাতে ৩২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গলসি থানায় প্রায় একঘণ্টা বিবিক্ষোভ দেখায় ধৃতদের পরিবার। মাছ ব্যবসায়ী উৎপল ঘোষ খুনে অভিযুক্ত প্রতিবেশী মনোজ ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত ও তাঁর দুই আত্মীয়ের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনায় আরও ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আবার বছরদুয়েক আগে বাগুইআটিতে এক মাছ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনা ঘিরে হইচই হয়েছিল। তাতে একজনকে আটক করে পুলিশ। সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে বচসার জেরেই এই ঘটনা বলে জানা যায়। তবে দুটি ঘটনার মাঝে রাজারহাটের এক ঘটনাও সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আসে। সে বার মাছ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল রাজারহাট থেকে। ঘটনাটি ঘটে রাজারহাট লাঙ্গোল পোতায়। জানা যায়, ভোরে মাঝরাস্তা থেকে উদ্ধার হয় ব্যক্তির দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন ভোরে রাস্তার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় মাছ ব্যবসায়ীকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পাশেই পড়ে ছিল ওই ব্যক্তির বাইক। তবে সে বার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
এবার আর এক মাছ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার ঘিরে হইচই।