কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান:পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে হইচই আসানসোলে (Asansol Youth Body Recovery) বারাবনি থানার অন্তর্গত জামগ্রামে। উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম সৈকতদাস বলে জানিয়েছে পুলিশ। বয়স ২৫ বছর।
কী জানা গেল?
গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গত ২২ জানুয়ারি থেকে ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। তার পরই পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বারাবনি থানায়। আজ,রবিবার, ওই যুবকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারাবনি থানার পুলিশ। এটি খুন নাকি আত্মহত্যার ঘটনা, তার তদন্ত শুরু করেছে বারাবনি থানার পুলিশ। ঘটনাচক্রে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় উত্তেজনা ছড়ায় আজই। থানা ঘেরাও করে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়-পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে মৃতের পরিবার।
বড়ঞায় উত্তেজনা: এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার সামনে তুলকালাম। থানা ঘেরাও করার পাশাপাশি, দেহ আটকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান মৃতের আত্মীয় ও গ্রামবাসীরা। মৃতের নাম অভিজিৎ সাহা।বছর ছাব্বিশের অভিজিতের বাড়ি বড়ঞার ববরপুর গ্রামে। পরিবারের অভিযোগ, এলাকারই এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই যুবকের। গত ২২ জানুয়ারি, প্রেমিকাই ফোন করে অভিজিতকে ডাকেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। বড়ঞা থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবকের পরিবার। ৭ দিন নিখোঁজ থাকার পর, রবিবার বড়ঞা থানার কাছে একটি পুুকুর থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। দেহ উদ্ধারে এলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। মৃত যুবকের বাবা হীরু সাহা বলেন, “পুলিশ কোনও কাজ করেনি। খালি বলছে তদন্ত চলছে।পুলিশ নিষ্ক্রিয়।’’প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ওই প্রেমিকাই নিখোঁজ যুবকের মাকে ফোন করে মোবাইল ফোন ও জ্যাকেট উদ্ধারের কথা জানান। এর পরেও পুলিশ ওই যুবতীকে শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেওয়ায় এদিন আধঘণ্টা পর থানার সামনে থেকে বিক্ষোভ ওঠে।
আরও পড়ুন:সায় নেই পরিবারের, নিজেরাই পরিণতি দিলেন সম্পর্ককে, মালদায় মন্দিরে বিয়ে সারলেন দুই তরুণী