ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: এগরায় (Egra Bomb Incident)ফের বিস্ফোরণ, হাত উড়ল এক ব্যক্তির। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি। কীভাবে এল বিস্ফোরক? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


কী জানা গেল?
গত বছর মে মাসে, বেআইনি বাজি কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণের জেরে শিরোনামে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জনের প্রাণ গিয়েছে। পরে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১১-এ। এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানার ওই বিস্ফোরণের যাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন, তাঁরা জানান অভিঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে দেহ রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা অনেকে জানান, গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে বাজি কারখানা চলত। তবে শুধুই বাজি নাকি কারখানার আড়ালে অন্য কিছুও চলছি? সন্দেহ দানা বাধে স্থানীয়দের মধ্যে। মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে, কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের নাম। তবে জবানবন্দি নেওয়ার আগেই মারা যান ওই ব্যক্তি। সূত্রের খবর, এমনিতেও কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না ভানু বাগ। ৮০ শতাংশ পোড়ার ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। 
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বিস্ফোরণের পর বাইকে চেপে এলাকা থেকে পালান ভানু বাগ। ছেলে-ভাইপোর সঙ্গে বাইকে চেপে পালান তিনি। ঝলসে যাওয়া অবস্থাতেই বাইকে চেপেই পালিয়েছিলেন,  এমনই উঠে এসেছে প্রাথমিক ভাবে। বাইকে করে প্রথমে বালেশ্বর যান ভানু, ভর্তি করা হয় এফএমএমসিএইচ হাসপাতালে। 'অনুষ্ঠান বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আহত হওয়ার কথা বলেছিলেন, জানান সেখানকার ডাক্তাররা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে কটকের রুদ্র হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই রাজ্যে অবশ্য এমন বিস্ফোরণের ঘটনা একেবারে অপরিচিত নয়।


আর যা...
এগরার পর পরই, গত অগাস্টে কেঁপে উঠেছিল দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানা। ওই ঘটনাতেও একাধিক প্রাণহানি হয় বলে খবর।বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে তার অভিঘাতে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে একাধিক দেহ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে এগরার ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফেরায় দত্তপুকুর। এতটা বড় না হলেও দিনচারেক আগে, মধ্য়মগ্রামে একটি বাড়িতে হঠাৎ বিস্ফোরণ গুরুতর জখম হন এক গৃহবধূ। বিস্ফোরণের অভিঘাতে দেওয়াল ভেঙে আহত আরও একজন। পুলিশ তদন্তে এসে জানতে পারে, গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত। তা হলে কোথা থেকে হল বিস্ফোরণ?


আরও পড়ুন:রাতের অন্ধকারে 'তাণ্ডব', বাঁকুড়ায় আলুর জমির দফারফা হাতির দলের