সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: বীরভূমের সাঁইথিয়ার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। চরকা গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে এলাকার দখল নিয়ে সংঘর্ষের জেরে বোমাবাজিতে হাত উড়ে গেল এক তৃণমূলকর্মীর।


তৃণমূল কর্মী রক্তাক্ত


রফিকুল আলম নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায়  মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সিপিএম-বিজেপির উস্কানিতে অশান্তি, অভিযোগ তৃণমূলের। পশ্চিম মেদিপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতির ডাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্তি পাকাতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাতে বিজেপির মদত আছে বলেও মনে করছেন তৃণমূল নেতার। যদিও তিনি দাবি করেন, কেশপুর আপাতত শান্তই আছে। শেষ কয়েকবছরে গণ্ডগোল হয়নি।

বিরোধীদের সমালোচনা 
অন্যদিকে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষের দাবি, নরেন্দ্রপুর, সাঁইথিয়া থেকে কেশপুর। পুরো বাংলা বারুদের স্তূপের উপর আছে। যাঁদের তৃণমূল কর্মী বলা হচ্ছে, তাঁরা আদতে গুণ্ডা। তারাই ভোটে জেতাচ্ছে, তারাই রাজস্ব করছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোম বনন্দুক বেরিয়ে আসছে, মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে। এর পরে মানুষ যাতে ভয়ে ভোট দিতে যেতে না পারেন তার ব্যবস্থা হচ্ছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও এই ঘটনায় আক্ষেপ করে বলেন, একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে রাজ্যে। খুবই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি। 


সাঁইথিয়ার ঘটনা 
দিন দুয়েক আগের ঘটনা, বোমাবাজিতে রক্তাক্ত হয় বীরভূম। সাঁইথিয়ায়, এক তৃণমূল কর্মীর হাত-পা উড়ে যায় তাতে।  হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরেক নাবালক! ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয় ১২ জন তৃণমূল কর্মীকে। এখনও পর্যন্ত পঁয়ত্রিশটা বোমা উদ্ধার করেছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। এরইমধ্যে আতঙ্কে বাড়ি ছাড়ছেন বহড়াপুরের  মহিলারা। অন্যদিকে বুধবার ফের সাঁইথিয়া বোমাবাজিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় আরও ২ জনকে। ধৃতদের নাম শেখ ইসরাফিল ও শেখ শাহজাহান। সাঁইথিয়া বোমাবাজিকাণ্ডে এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪।  এই নিয়ে মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করল সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। এদের নাম শেখ ইসরাফিল বাড়ি পরিহারপুর গ্রাম এবং শেখ শাহাজাহান বাড়ি আকুডিহি গ্রাম। বুধবার তাদের সিউড়ি আদালতে তোলা হবে। 


                                                                                                 


যাঁরা টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়েছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? CBI-কে প্রশ্ন আদালতের