সমীরণ পাল, বনগাঁ:  প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে বিডিও-পুলিশকে বিজেপি বিধায়কের হুমকি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেখা নেওয়ার হুমকি বিজেপি বিধায়কের। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গণধোলাইয়ের হুমকি বিজেপি বিধায়কের। পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে পুলিশকেও জনতা গাছে বেঁধে রাখবে বলে হুঙ্কার। ব্লক অফিসের সামনে বিক্ষোভে হুঙ্কার বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের। 


অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে সমস্যা লেগেই রয়েছে একাধিক জেলায়। মেলেনি আবাস যোজনার ঘর, তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ। বাসন্তী বিডিও অফিসের সামনে বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ। তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।                                                                             


এদিকে, আবাস যোজনার তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের নাম। প্রধানের পাকা বাড়িতে দাঁড়িয়েই বাদ দিলেন প্রধানের ভাইয়ের নাম। আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাতিল হল নদিয়ার কল্যাণী ব্লকের সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নিজের ভাইয়ের নাম। ১০ ডিসেম্বর শনিবার বিডিওকে সঙ্গে নিয়ে কল্যাণী মহকুমা শাসক গিয়েছিলেন সগুনা গ্রামে। সগুনা পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান প্রবীর হালদারের পাকা বাড়ি রয়েছে এই গ্রামেই। আবাস যোজনার তথ্য যাচাইয়ে আশা কর্মীদের কাছে তথ্য পেশ করেন প্রধান নিজেই। সেখানেই প্রধানের ভাই প্রদীপ হালদারের নাম বাতিল করেন কল্যাণী মহকুমা শাসক হীরক মণ্ডল। 


আরও পড়ুন, 'আমি বদলে গিয়েছি, ভগবান থেকে এখন শয়তান', একটি মামলার শুনানিতে মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের



প্রধানের ভাই প্রদীপ হালদার সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন কর্মী। প্রধানের দাবী, ২০১৭ সালে আবাস যোজনার সমীক্ষায় তার নামই উঠেছিল তালিকায়। এখন সেই তালিকা ধরে ধরে উপভোক্তাদের তথ্য যাচাই চলছে পঞ্চায়েত, ব্লক, জেলা স্তরে। সরকারি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছবি তুলছেন। শনিবার সেই কাজেই সগুনা গ্রামে গিয়েছিলেন কল্যাণী ব্লক আধিকারিক, কল্যাণী মহকুমা শাসক ও কল্যাণী থানার আইসি। সেই সময় প্রদীপ বাড়িতে ছিলেন না। আধিকারিকেরা তালিকায় নাম দেখে প্রধানের বাড়িতে যান।                                                                



তালিকায় নাম থাকা প্রদীপের দাদা পঞ্চায়েত প্রধান প্রবীর হালদার বলেন, ভাইয়ের নাম বাতিল হলে হবে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। 
এদিন সগুনায় ৬টি বাড়িতে তথ্য যাচাই করেন সরকারি আধিকারিকরা। এই ৬টি বাড়ির মধ্যে ২টি বাড়ি আবাস যোজনা তালিকা থেকে বাদ যায়।