আবির দত্ত, কলকাতা: গরু পাচার (Cattle Smuggling Case) থেকে মাদক পাচার (Drug Smuggling), জাল নোটচক্র, জঙ্গি-অনুপ্রবেশ, সীমান্তে একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্ম বন্ধে এবার ভারত-বাংলাদেশ দু'দেশের যৌথ নজরদারি- (BSF)। রবিবার, কলকাতায় বৈঠকে বসে, Border Security Force বা BSF এবং, Border Guard Bangladesh বা BGB। দু’দেশের সীমান্ত-সুরক্ষা নিয়ে এ দিন দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন BSF ও BGB’র আধিকারিকরা।


কলকাতায় বৈঠক হল BSF এবং BGD-র 


সূত্রের খবর, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, সীমান্ত সুরক্ষায় (Border Security) দু’দেশের সীমান্ত বাহিনী একযোগে বর্ডার এলাকায় টহল দেবে। সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ ও অপরাধপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হবে।  


ইন্সপেক্টর জেনারেল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স - রিজিওনাল কমান্ডার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ লেভেল বর্ডার কোঅর্ডিনেশন কনফারেন্স, ১৮ তম ইন্সপেক্টর জেনারেল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স- রিজিওনাল কমান্ডার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ লেভেল বর্ডার কোঅর্ডিনেশন কনফারেন্স ১৩ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে।


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: তাজ বেঙ্গলে অভিষেকের ছেলের জন্য এলাহি আয়োজন! শুভেন্দুর দাবি নস্যাৎ করল তৃণমূল


১১ সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান, বিএসপি, পিএসসি, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, এরিয়া কমান্ডার, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল, রংপুর।  বিজিবি প্রতিনিধি দলে কে এম আজাদ, বিপিএম, (শেবা), পিপিএম (শেবা), পিএসসি, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, এরিয়া কমান্ডার, এসডব্লিউ এরিয়া, যশোর এবং অন্যান্য ০৯ জন প্রতিনিধি রয়েছেন।


 ১১ সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন ড. অতুল ফুলঝেলে, আইপিএস, আইজি, বিএসএফ, সাউথ বেঙ্গল, ফ্রন্টিয়ার।  বিএসএফ প্রতিনিধি দলে শ্রী অজয় ​​সিং, আইজি, বিএসএফ, নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, শ্রী কমলজিৎ সিং বন্যাল, আইজি, বিএসএফ, গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ার এবং ০৮ জন অন্যান্য প্রতিনিধি রয়েছেন।


আন্তঃসীমান্ত অপরাধ রুখতে তোড়জোড়


 সম্মেলনে  সীমান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, যার মধ্যে আন্তঃসীমান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা, অমীমাংসিত উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে ঐকমত্য, সীমান্ত অতিক্রমের অবৈধ চলাচল রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ। উভয় পক্ষের সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা সম্পর্কিত বিষয়গুলিও আলোচনা করা হচ্ছে যার মধ্যে রয়েছে দিন ও রাতে একযোগে সমন্বিত টহল, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা এবং সকল স্তরে বৈঠকের দূরদর্শিতা বাড়ানো, যা অনেক দূর এগিয়ে যায়। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং উভয় দেশের সীমান্ত জনগণের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা।