কলকাতা : বউবাজারে মদন দত্ত লেনে ফিরল ফাটল আতঙ্ক। ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি বাড়ির বাসিন্দাদের হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরীক্ষা করে দেখেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল। তাঁরা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির ভিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
মমতার দিকেই আঙুল তুললেন দিলীপ
অন্যদিকে বৌবাজারের ঘটনাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুল তুললেন দিলীপ। বললেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেট্রোর রুট ঘুরিয়ে দেওয়ার কারণেই এই সব হচ্ছে।' বউবাজারে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য মদন দত্ত লেনে কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরা প্রসঙ্গে দিলীপ অভিযোগ করেন , রাজনীতির স্বার্থে ঘোরানো হয়েছে মেট্রোর রুট।
ফিরহাদ হাকিমের পরামর্শ
ইতিমধ্যে মেট্রো কর্তৃপক্ষ মাটির নিচের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে গ্রাউটিং এর কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথাও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মেট্রো। এদিন বউবাজারের বিপর্যয় নিয়ে মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের পরামর্শ , মেট্রো কর্তৃপক্ষের উচিত পুরো জায়গাটি সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন করে সব বাসিন্দাদের জন্য বড় একটি বাড়ি করে থাকার জায়গা করে দেওয়া হোক। যাঁর যতটা জায়গা প্রাপ্য, তেমনভাবে বণ্টন করা হোক জায়গা।
এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে আজ ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ সহ বিভিন্ন দলের নেতারা। সকাল থেকেই বাসিন্দাদের সঙ্গে রাস্তায় ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে।
বিষফোঁড়া বৃষ্টি
একে ফাটলে রক্ষা নেই, বৃষ্টি দোসর। বউবাজারে সমস্যা বাড়াচ্ছে অসময়ের বৃষ্টি। দুপুর থেকে টানা বৃষ্টিতে পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে। মেট্রোর কাজ চলাকালীন মাটির তলার জল বন্ধ করার আগেই, জলে জমে যাচ্ছে উপরে। নাগাড়ে বৃষ্টি পড়ায় জল বাইরে বারও করা যাচ্ছে না। ফলে গ্রাউটিংয়ের মাত্রা আরও বাড়ানোর ভাবনা মেট্রো কর্তৃপক্ষের। যদিও বৃষ্টি না থামলে, সেই পরিকল্পনাও কার্যকর করা যাচ্ছে না।