কলকাতা : ফের বউবাজারে দুর্গা পিতুরি লেনে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মীয়মাণ টানেলে জল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে KMRCL-এর আধিকারিকরা পৌঁছলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আধিকারিকদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের বচসা, ধস্তাধস্তির উপক্রম হয়। ঘটনার প্রতিবাদে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে (Central Metro Station) ঢুকে বউবাজারের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। ভেন্ডিং মেশিনের সামনে বসে পড়েন তাঁরা। 'এভাবে চলতে পারে না। সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের।' এমনই মন্তব্য করেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ভেন্ডিং মেশিনের সামনে থেকে তাঁরা সরে গেলে আবার যাত্রীরা যাতায়াত শুরু করে। গতকাল রাতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মীয়মাণ টানেলে জল ঢুকে যায়। তড়িঘড়ি সেখান থেকে সরানো হয়েছে এলাকার ১১টি বাড়ির ৫২ জনকে। East West Metro Under Construction Tunnel
মেট্রো স্টেশনে ঢুকে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এক বিক্ষোভকারী বলেন, "আর কোনও উপায় নেই। আমাদের কথা কেউ শুনছে না। এটাই একমাত্র উপায়। তাছাড়া কোনও উপায় নেই। এটা আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। অ্যাসোসিয়েশনে কথাবর্তা চালাচ্ছি। এবার যেরকম যেরকম নির্দেশ পাব সেভাবে এগোব।" তাঁদের তরফে আরও বলা হয়, 'আমরা তো একটাই চাহিদা রাখছি, MD-কে এসে কথা বলতে হবে। কারণ, এদের অন্যলোকের যাঁরা আশ্বাস দিচ্ছেন, তাঁদের আশ্বাসের কোনও দাম নেই। মেট্রোর কথার কোনও সারবত্তা নেই। ওরা বলছে এক, কিন্তু করছে আর এক। গতকাল সকালে চিঠি দিয়ে বলল, এখানকার মানুষ নিরাপদ। ঘরে ফিরে আসুক। আবার রাতে বিপর্যয় ঘটল। ফলে, ওদের লিখিত চিঠির কোনও দাম আছে ? এর শেষ কোথায় ? '
বিপর্যয় যেন পিছু ছাড়ছে না বউবাজারের (Bowbazar Disaster)। এর আগে ২০২২ সালে ক্রস প্যাসেজ বানানোর সময়, ফাটল দেখা যায় একাধিক বাড়িতে। এই অবস্থায়, বিকল্প হিসেবে, ভেন্টিলেশন Shaft-এর কথা ভাবে KMRCL কর্তৃপক্ষ।
কখনও সুড়ঙ্গপথে হু হু করে ঢুকে গেছে জল। কখনও আলগা হয়ে গেছে মাটি। আর তার জেরেই একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে। আশ্রয় হারা হয় অসংখ্য পরিবার। এরকম চলতে থাকলে কীভাবে বউবাজারে শেষ হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রের কাজ? সেই সময় সেই বিকল্প উপায় ভাবে KOLKATA METRO RAIL CORPORATION বা KMRCL কর্তৃপক্ষ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে