রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  বেলেঘাটায় আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ির সামনে শুক্রবার সকালেই পৌঁছে যায় ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ৬টা ৪০-এ র সন্দীপের বাড়িতে পৌঁছেছে ইডি-র চার সদস্যের টিম। এছড়া হাওড়ার সাঁকরাইলে ভেন্ডর বিপ্লব সিংহ ও তার আরেক প্রতিবেশীর বাড়িতেও চলছে ইডি-র তল্লাশি অভিযান। এখানেই শেষ নয়,  সুভাষগ্রামে আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আরেক ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।


সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ প্রসূনের বাড়িতে পৌঁছন তদন্তকারীরা। এর আগে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের পর, সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায় এই প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। প্রসূন আদতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। সন্দীপ ঘোষ সেখানে সুপার থাকাকালীন প্রসূন চাকরি পান। আর জি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হওয়ার পর, সন্দীপের সঙ্গেই দেখা যেত প্রসূনকে। নিজেকে সন্দীপ ঘোষের PA বলে পরিচয় দিতেন প্রসূন চট্টোপাধ্যায়।  


একটি ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যায়, মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরই সেই স্থলে দেখা গিয়েছিল বহু বাইরের লোকের ভিড়। সেখানেই দেখা যায় প্রসূনকে।  মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রসূন মর্নিং সেদিন ডিউটি করেন। দুপুরে ছুটির পর তিনি কোথায় যাবেন, সেটা কর্তৃপক্ষের জানার কথা নয়।


তবে ন্য়াশনাল মেডিক্য়ালের পড়ুয়াদের মুখে উঠে আসে  চাঞ্চল্যকর তথ্য ।  আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের ভাইরাল ভিডিওতে প্রসূনকে দেখা যাওয়ার পর, বিক্ষোভে নামেন তাঁরা।  সেদিনই গোটা হাসপাতাল চত্বরে প্রসূনের ছবি দিয়ে 'মিসিং' লিখে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, মঙ্গলবারও হাজিরা খাতায় সই করেন প্রসূন। তারপর হাফ সিএল নিয়ে বাড়ি চলে যান। কিন্তু কেন ? 


ন্যাশনালের পড়ুয়াদের দাবি, প্রসূূন ওই কলেজের কর্মী খাতায়-কলমে, কিন্তু সিংহভাগ সময় তার যেত আরজি করেই। সন্দীপ ঘোষের ক্লোজ সার্কিটে ছিলেন তিনি। তাহলে কি সন্দীপের আর্থিক দুর্নীতির জাল বিছোতে সাহায্য করতেন এই প্রসূন ?   খোঁজ নিচ্ছে ইডি। 


আরও পড়ুন: Dev on Kanchan Mallick: এই কাঞ্চন মল্লিককে চিনি না, ওঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি: দেব


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।