অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: বউবাজারে ফাটল-বিপর্যয়ের জের (Bowbazar House Cracks)। প্রাথমিকভাবে দুর্গা পিটুরি লেনের দু'টি বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন KMRCL কর্তৃপক্ষ। রবিবার থেকেই ভাঙা হতে পারে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি দু'টি। দুর্গা পিটুরি লেনের বাকি বাড়িগুলির বিষয়ে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে KMRCL কর্তৃপক্ষ। পরামর্শ নেওয়া হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইটি রুরকির (East West Metro)।


দুর্গাপিটুরি লেনে ভেঙে ফেলা হবে দু'টি বাড়ি


অন্য দিকে, রবিবার বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসার কথা (Kolkata News)। আলোচনায় যোগ দিতে পারে KMRCL কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাড়ি খালি করা নিয়ে আশঙ্কায় বাসিন্দারা। ঘরবোঝাই জিনিসপত্র এত কম সময়ে কী ভাবে সরানো সম্ভব, সেগুলি নিয়েই বা কোথায় গিয়ে উঠবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সকলে। পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানা গিয়েছে।


২০১৯-এর পর ২০২২, গত আড়াই বছরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণে বার বার বিপত্তি বেধেছে। জায়গা একই, বউবাজারের দুর্গাপিটুরি লেন। ফাটল ধরেছে একাধিক বাড়িতে। খসে পড়েছে ইট। তাতে 
ভিটে ছেড়ে হোটেলে ঠাঁই নিতে হয়েছে ১৪১ জনকে। কিন্তু কেন বারবার একই জায়গায় বিপত্তি? রুট পাল্টানোতেই কি বারবার বিপর্যয় হচ্ছে? প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। রুট বদলানোর জন্যই বার বার বিপত্তি দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। যদিও রুট বদলের জন্য বিপত্তির কথা মানতে নারাজ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
গ্রাফিক্স আউট


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari Update: মমতার পর মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর, রাজ্যকে আক্রমণ, তরজায় তৃণমূল-বিজেপি


প্রাথমিকভাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য যে রুট নির্ধারিত হয়, সেখানে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের নীচ দিয়ে সরাসরি শিয়ালদহ ও লালদিঘিকে জোড়বার কথা ছিল। ২০০৮-এর ২৭ অক্টোবর - সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ, বউবাজার, লালদিঘি হয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত প্রস্তাবিত সেই রুট অনুমোদন পায়। 


বউবাজার নিয়ে রাজনৈতিক তরজা


কিন্তু সেন্ট্রালের কাছে নতুন স্টেশন করা নিয়ে জমি জট তৈরি হয়। ২০১২ সাল থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে এই নিয়ে চিঠি বিনিময় চলে। এরই মধ্যে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা অবধি হয়ে মেট্রোর কাজ থমকে যায়। ২০১৪ সালের পরে মেট্রোর রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লালদিঘি থেকে এসপ্ল্যানেডে নিয়ে যাওয়া হয় মেট্রোর সুড়ঙ্গ। সেখান থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার হয়ে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। যদিও, রুট বদলের জন্য বিপত্তির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও।