কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: শিক্ষার জাতীয় কমিটিতে 'ব্রাত্য' বাংলা। জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়নে UGC-র কমিটিতে নেই বাংলার কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি। UGC-র বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। পাল্টা, জবাব দিয়েছে বিজেপি।



নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই নতুন বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা UGC-র তৈরি করা শিক্ষার জাতীয় কমিটিতে জায়গা পেলেন না পশ্চিমবঙ্গের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান। জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করতে তৎপরতা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিঠি আসছে রাজ্য সরকারের কাছে। জাতীয় শিক্ষানীতির-বিধির উপর ভিত্তি করে, নিজস্ব নীতি তৈরি করতে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রেক্ষাপটে, জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়নে UGC-র তৈরি করা কমিটিতে জায়গা হল না বাংলার কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির।                                    


রাজ্যগুলিকে জোন ধরে ৫টি কমিটি তৈরি করেছে UGC। তার মধ্যে একটি উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বাঞ্চল জোন। তাতেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই কমিটিতে নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়, গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকী ত্রিপুয়া কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যরা থাকলেও, জায়গায় হয়নি এরাজ্যের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের। 


আরও পড়ুন, বাধ্যতামূলক ডিজিটাল হাজিরা, দুর্নীতি রুখতে উদ্যোগ কেন্দ্রের


এ-নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ট্যুইট করে বলেন, UGC-র উদ্যোগ এবং সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে কার্যকর করার জন্য, কেন্দ্রীয়, রাজ্য, বেসরকারি এবং স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যদের নিয়ে UGC ৫টি জোনাল কমিটি তৈরি করেছে। উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বাঞ্চল জোনে ৭ জন সদস্য রয়েছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, বাংলার ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিরও উপাচার্য তাতে জায়গা পাননি। সেটা এমন একটা সময়ে যখন, অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভাসিটিজ-এর সভাপতি, বাংলার প্রথমসারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান।                                          


UGC পক্ষপাতদুষ্ট, পদক্ষেপ সন্দেহজনক। মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিতে বলা হয়েছে, স্কুল শিক্ষায় 10+2 মডেলের বদলে নতুন মডেল 5+3+3+4 চালু করা। নতুন নীতিতে গুরুত্বহীন হবে মাধ্যমিক।                                                       


এর পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অভিন্ন প্রবেশিকা, শিক্ষাবর্ষে মাল্টিপল এন্ট্রি অ্যান্ড এক্সিট সিস্টেম এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বহুমুখী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বলা হয়েছে। আর, এনিয়ে একাধিক আপত্তির কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।