আশাবুল হোসেন, কলকাতা:  শিক্ষক নিয়োগে (Teacher Recruitment) দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য। এই অবস্থায় আন্দোলনরত বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে সরকারের মনোভাব কী, তাঁদের সুবিচার দিতে সরকার কী কী পদক্ষেপ করতে চায়, এ প্রসঙ্গে এদিন এবিপি আনন্দের (ABP Ananda) একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই কথাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।                                                 


তিনি বলেন, "আদালত যেভাবে আমাদের পথনির্দেশিকা দেবে,সেই মতো অনুমোদন দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু বলেছেন যে আমরা কারও চাকরি খেতে চাই না। অতীতে গোলমাল করেও যদি কেউ চাকরি পান, আমরা সেটা রক্ষা করতে চাই। যা নিয়ে বিতর্ক আছে, সমস্যা আছে, আমরা সেই চাকরিও রক্ষা করতে চাই। একইসঙ্গে চাই, যোগ্যরাও যেন বঞ্চিত না হন। এটা মুখ্যমন্ত্রীরই অভিপ্রায়’। বেআইনি নিয়োগের একের এক বিতর্কের মধ্যেই মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। 



আরও পড়ুন, জেলায় আশা কর্মীদের পুজোর বোনাস বৃদ্ধির ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


এদিকে আজ, প্রাথমিক TET’এ ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলায়, আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে ৪ দফায় আরও ২৫৪ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪’র TET’এর ভিত্তিতে ২০১৬ ও ২০২০ সালে দু’বার নিয়োগ হয়।  মামলাকারীর দাবি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ভুল প্রশ্নে তাঁদের ৬ নম্বর দেওয়া হয়নি এরপর, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, ৬টি ভুল প্রশ্নের নম্বর জুড়ে এঁরা সকলেই TET উত্তীর্ণ। এই মামলায়, বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ২২ জন TET উত্তীর্ণকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন।                                                              


অবিলম্বের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। অন্যদিকে, ২০১৪’র TET’এর OMR শিট নষ্টের মামলার নির্দেশে পরিবর্তন করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন নির্দেশে, FIR দায়েরের সিদ্ধান্ত CBI’এর উপরেই ছাড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, CBI চাইলে প্রাথমিক মামলায় আগের FIR’এর ভিত্তিতেই তদন্ত করতে পারে। এর আগে মঙ্গলবার এই মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে গিয়ে, সিবিআইকে FIR দায়ের করতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।