কলকাতা: শিল্পীদের বয়কট-বিতর্কে সরাসরি দলেই চ্যালেঞ্জের মুখে অভিষেক? কুণাল-কল্যাণের সুরে এবার বয়কটের পক্ষে সওয়াল করলেন শিক্ষামন্ত্রীরও। বয়কট প্রসঙ্গে দলে দু'রকম মত রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ব্রাত্য বসু।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, "শিল্পী হিসেবে আমি সরকারের বিরোধিতা করব, তার থেকেই শো চাইব? সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে অনুদান আশা করব, এটা হতে পারে না। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর, আমার নাট্যদল কেন্দ্রের ২০টি অনুদান ফিরিয়েছিল। তারপর, কেন্দ্রীয় সরকার শো না দিলে আমি তাদের কাছে কাঁদুনি গাইতে যাব না। পদমর্যাদায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার উঁচুতে। দলীয়ভাবে। তাঁর মত আমি ঠিক কিনা আবার কুণাল ঘোষের মত ভুল কিনা এটা নিয়ে আমি কোনও উত্তর দিতে পারি না। আমি একটি উত্তরই দিতে পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতই আমার মত। '
গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বা তিনি বয়কট নিয়ে কোনও নির্দেশ দেননি। আজ কুণাল ঘোষ বলেন, দলের একাধিক গ্রুপে বয়কট নিয়ে সার্কুলার রয়েছে। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামা শিল্পীদের একাংশকে বয়কটের ডাক ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে বিভাজন স্পষ্ট অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে কার্যত চ্য়ালেঞ্জ করলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলছেন, "যেহেতু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ফেজটায় আর জি করের সময়টায়, যেহেতু সেই সময়টায় তিনি বাইরে ছিলেন এবং গোটা বিষয়টার মধ্যে ছিলেন না, যে কুৎসা-চক্রান্ত ঝামেলা যারা আমরা সামলেছি, আমাদের জিজ্ঞাসা করলে আমরা বলে দেব এর ডিফারেন্সটা কী।''
কুণালের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। যাঁর হয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, "গত ৩ -সাড়ে ৩ মাস দিদি তো দিদির মতো রয়েছে, মুখ তো খুলেছিলাম আমি আর কুণাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যারা কুৎসা রটিয়েছে সেইসব শিল্পীদের না ডাকা উচিত। আর আমার কনস্টিটুয়েন্সির (নির্বাচনী ক্ষেত্রে) মধ্যে কোথাও ডাকলে আমি নিজে গিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান তুলব।''
আরও পড়ুন: Potato Price Hike: মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরই তৎপরতা, বাজারে টাস্ক ফোর্সের অভিযান