কলকাতা: আলুর দাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই ফের দেখা গেল রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের তৎপরতা। কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে চলল অভিযান। বিক্রেতারা আলু-সহ সবজির দাম কমার দাবি করলেও, ক্রেতাদের একাংশের মুখে শোনা গেল অভিযোগ।
টাস্ক ফোর্সের তৎপরতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার পরেই তড়িঘড়ি তৎপরতা। কলকাতা থেকে জেলা, আলু-সহ বিভিন্ন সবজির দাম সরজমিনে দেখতে বাজারে ঘুরলেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। জ্যোতি আলু থেকে চন্দ্রমুখী আলু, কিনতে গিয়ে ঠিক কত কড়ি খসছে ক্রেতাদের, খতিয়ে দেখলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার, আলুর দামবৃদ্ধি ও অন্য রাজ্যে রপ্তানি নিয়ে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর তিরষ্কারের মুখে পড়তে হয় পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকেও। গতকাল মমতাৈ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আপনারা তো আলু ছেড়ে দিলেন প্রদীপ দা (মজুমদার)। আপনি আর বেচা (বেচারাম মান্না)। কেন ছেড়ে দিলেন? আমায় না জিজ্ঞেস করে? এখানে মানুষ বেশি দামে কিনবে, আর আপনারা ছেড়ে দেবেন ইচ্ছেমতো?''
মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের নিয়ে মানিকতলা বাজারে অভিযান চালায় টাস্ক ফোর্স। এদিন টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, "বাজারের ভিতরে দেখছি বাইরের থেকে একটু বেশি দাম। বিষয়টা কেন দেখা হচ্ছে।'' শুক্রবার, মানিকতলা বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হয় কেজি প্রতি ২৬ থেকে ২৯ টাকা। চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি। পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। মানিকতলা বাজারে এক ক্রেতা বলেন, "নজরদারি মাঝেমাঝে না হয়ে প্রায়ই হলে দাম একটু কমে।''
কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরই কেন তৎপরতা? মাঝে মধ্যে এই অভিযান চললে, শাক-সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে বলেই মনে করছেন ক্রেতারা। এদিন একই নজরদারির ছবি দেখা যায় হাওড়াতেও। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেখানকার কদমতলা ও শিবপুর বাজারে হানা দেয় টাস্ক ফোর্সের একটি দল। উত্তর ২৪ পরগনাতেও চোখে পড়েছে একই তৎপরতা। হরিতলা বাজার, কাছারি বাজার, হেলাবটতলা বাজার, হৃদয়পুর বাজার- একসঙ্গে বারাসাত এলাকার ৪টি বাজারে অভিযান চালান সরকারি আধিকারিকরা।