অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : পরিসংখ্যান বলছে আমাদের দেশে এই মুহূর্তে ২৮ জনের একজন মহিলা স্তন ক্যান্সারে (Breast Cancer ) আক্রান্ত হন । বিশেষজ্ঞদের ধারণা ২০৩০ সালের মধ্যে স্তন ক্যান্সার একটি ভয়ঙ্কর জায়গায় গিয়ে পৌঁছবে। তবে ব্রেস্ট ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়। বরং অনেকক্ষেত্রেই রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি যান। দরকার শুধু সচেতনতা। তাই ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা গেলেই, তা শনাক্ত করে, চিকিত্সা শুরুর উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর।
প্রাণঘাতী হবে না স্তন ক্যান্সার
শুরু থেকে চিকিৎসা করালে নিরাময় সম্ভব। প্রথম থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিলে প্রাণঘাতী হবে না স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা গেলেই, তা শনাক্ত করে, চিকিত্সা শুরুর উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের এভাবেই সচেতন করবেন আশাকর্মীরা। রোগ শনাক্ত হলে, শুরু হবে চিকিত্সাও। ক্যান্সার নিরাময়ে নতুন উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন :
ব্রেস্ট ক্যান্সার মানেই অবধারিত মৃত্যু নয়, স্তন বাদ দেওয়াও নয় ! বিরাট আশার বার্তা দিলেন ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার
উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর
সোমবার স্বাস্থ্য ভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের সূচনা করেন, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ডায়মন্ড হারবার, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, ৫ স্বাস্থ্য জেলায় ত্রিস্তরীয় মডেলে শুরু হচ্ছে এই পাইলট প্রজেক্ট। এই স্বাস্থ্য জেলাগুলিতে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতন করবেন আশাকর্মীরা।
ত্রিস্তরীয় মডেল ৫ জেলায়
চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার জানালেন, '' ত্রিস্তরীয় মডেল ৫ জেলায় হচ্ছে। এটা ফাইনাল প্রজেক্ট। ৩ মাস ধরে আমরা আশাকর্মীদের, ৬০জন চিকিত্সককে, কমিউনিটি হেল্থ অফিসারদের ট্রেনিং দিয়েছি। এবার কাজটা শরু করছি''
ব্রেস্টে লাম্প বা টিউমার হলে, তা কীভাবে শনাক্ত করবেন। সে ব্যাপারে মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করবেন আশাকর্মীরা। কারোর মধ্যে যদি কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, সঙ্গে সঙ্গে জানানো হবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্রে। এরপর ব্রেস্ট ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে, করা হবে ultrasound ও বায়োপসি। সেখানই প্রাথমিক চিকিত্সা করা হবে। এরপর প্রয়োজন হলে, জেলা হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হবে। সেক্ষেত্রে, দরকার হলে, SSKM-এর সাহায্য নেবে জেলা হাসপাতাল।