সুনীত হালদার, হাওড়া: বিডিও অফিসের (Howrah BDO Office) বাইরে সক্রিয় দালাল চক্র! এমনই অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার ডোমজুড়ে (Domjur)। অভিযোগ, বিডিও অফিস (BDO Office) লাগোয়া কিছু দোকানে সরকারি প্রকল্পের জন্য ফর্ম সংগ্রহ বা ফর্ম ফিলাপ করাতে গেলে দেওয়া হচ্ছে সহজে কাজ করে দেওয়ার টোপ। বিনিময়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা টাকা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।


সরকারি প্রকল্পের (Government Project) ফর্ম ভরে দেবেন তাঁরাই। যেখানে যাঁর সই দরকার, সইও করিয়ে দেবেন। কোথাও দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। বিনিময়ে আবেদনকারীকে গুনতে হবে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। অভিযোগ এমনই আশ্বাস দিয়ে দালাল চক্রের রমরমা চলছে হাওড়ার ডোমজুড় বিডিও অফিস লাগোয়া দোকানগুলিতে। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামগঞ্জের গরিবগুর্বো মানুষ, যাঁরা অনলাইনে ফর্ম সংগ্রহের বিষয়ে সড়গড় নন, মূলত তাঁরাই দালালচক্রের খপ্পরে পড়ছেন। 


অভিযোগকারী সূর্যকান্ত ঘোষ বলছেন, অক্টোবর ২০২০-তে আমরা এখানে অ্যাপ্লিকেশন করি। এই অনলাইনেই জেরক্সের দোকানটায়। এরা বলেছিল ৪০০ টাকা লাগবে। আরও ১০০০ টাকা লাগবে। আমরা দেড় হাজার টাকা দিয়েছিলাম। বলেছিল, কোথাও যেতে হবে, হাসপাতাল, পঞ্চায়েত যেখানে যার সই লাগবে সব ওরাই করিয়ে দেবে।


এখানেই শেষ নয়। ফর্ম ফিলাপের নামে বারবার টাকা নিয়ে হেনস্থার অভিযোগও উঠছে। অভিযোগকারী সূর্যকান্ত ঘোষ আরও জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে ফোন করে বলছে একটা তথ্যে ভুল আছে। আবার ৪০০ টাকা নিল। এই কয়েকবার হয়ে গেল তথ্যে ভুল করা ওদের। প্রতিবারই টাকা দিচ্ছি।


ডোমজুড়ের ব্যবসায়ী আফরোজা বেগমের কথায়,ল্যাপটপ, ডঙ্গল আছে। আমার প্রতি অনেকের হিংসে আছে। কোনও টাকা পয়সা নিইনি, উনি পুরো মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।


অথচ ডোমজুড় বিডিও অফিস চত্বরেই রয়েছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। সেখানে নিখরচায় সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ডাউনলোড করে দেওয়া হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ডোমজুড় ব্লকের বিডিও। 


ডোমজুড় ব্লকের  বিডিও দীপঙ্কর দাস জানিয়েছেন, সব দোকানদারদের ডেকেছিলাম। অফিসের আশপাশে সব দোকানে টাকা নিয়ে এধরনের কাজ বন্ধ করতে বলেছি। বিডিও-র কড়া পদক্ষেপের পর, দালাল রাজ বন্ধ হয় কিনা, সেটাই দেখার।