সুনীত হালদার, হাওড়া: নিহত প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খানের (anis khan) খুড়তুতো ভাই (brother) সলমন খানকে (salman khan) তাঁর বাড়িতেই ধারাল অস্ত্রের (sharp weapon) কোপ (attack)। মাথায় গভীর ক্ষত নিয়ে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে (uluberia hospital) চিকিৎসাধীন সলমন। খুনের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের (goons) বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি তৃণমূল। উঠেছে পুলিশি (police) নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও। 


কী ঘটেছিল?
গভীর রাত। ঘড়ির কাঁটা বলছে, সওয়া একটার কাছাকাছি হবে। হঠাতই হাওড়ার আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় তুমুল চিৎকার-চেঁচামেচি। রক্তে ভাসছেন চব্বিশ বছরের সলমন যিনি কিনা সম্পর্কে প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিসের খুড়তুতো ভাই। পরিবারের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সলমনকে পিছন থেকে ধারাল অস্ত্রের আঘাত করা হয়। চোট পেয়ে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনার সময় বাথরুমে ছিলেন সলমনের স্ত্রী হোসেনারা খাতুন। সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, আওয়াজ পেয়ে বেরিয়ে এসে দেখেন তাঁর স্বামী অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন। আর কেউ এক জন বেরিয়ে যাচ্ছে। চিৎকার সঙ্গে বাড়ির অন্য়ান্যরা ছুটে আসেন। পৌঁছে যান নিহত ছাত্রনেতার পরিজনেরা। প্রথমে আমতা গ্রামীণ হাসপাতাল ও শেষে উলুবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সলমনকে। সূত্রে খবর, চব্বিশ বছরের তরুণের মাথায় গভীর ক্ষত হয়েছে। হাত ও দেহের অন্য অংশেও ক্ষত পেয়েছেন চিকিৎসকরা। আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁর। 


নেপথ্যে কে?
পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে সলমনের উপর। তাঁদের ধারণা, আনিসের মৃত্য়ুর বিচার চেয়ে সরব হওয়ায় এভাবে আক্রমণ করা হয় তাঁর উপর। এক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও এনেছে সলমনের পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, আগেও সলমনের উপর দু’বার হামলা হয়েছিল। হুমকিও দেওয়া হয় তাঁকে। বিষয়টি নিয়ে আমতা থানায় অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে খেদ পরিবারের। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযোগ পেয়েই তদন্ত করেছিল তারা। এক্ষেত্রে হাসপাতালে গিয়ে আনিসের ভাইয়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে জখম সলমন অবশ্য জানিয়েছিলেন, তিনি রাতের অন্ধকারে কাউকে সে ভাবে দেখতে পাননি। কিন্তু পুলিশকে কী বলেছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। প্রসঙ্গত, আমতার ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যু ঘিরে আগেই আতসকাচের নিচে পুলিশের ভূমিকা। এবার তাঁর ভাইয়ের উপর হামলাতেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।


আরও পড়ুন:"ওঁকে বীরের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিহার জেলে যেতে হবে", মমতাকে একহাত শুভেন্দুর