অর্ণব মুখোপাধ্যায়, রিষড়া : অবশেষে দেশে ফিরলেন BSF জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ । আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরলেন রিষড়ার BSF জওয়ান। গত ২৩ এপ্রিল  পহেলগামে জঙ্গি হানার পরের দিনই পঞ্জাবের পঠানকোটে কর্মরত অবস্থায় ভুল করে পাকিস্তানের সীমায় ঢুকে পড়েন পূর্ণম। তিনি গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখনই পাক রেঞ্জার্স তাঁকে আটক করে । সীমান্তে এমন ঘটলে সাধারণত দুই দেশ আলোচনা করে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পূর্ণমকে দীর্ঘদিন আটকেই রাখা হয়। এরই মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। ততই বাড়তে থাকে উত্তেজনা।      

বিএসএফ-এর তরফে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে বিএসএফ কনস্টেবল পূর্ণম কুমার শ-কে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে। কনস্টেবল পূর্ণম কুমার শ  গত ২৩ এপ্রিল  ফিরোজপুর সেক্টরে অপারেশনাল ডিউটির সময় অসাবধানতাবশত পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন। তখন  পাক রেঞ্জার্স তাকে আটক করে। অবশেষে ভারতের প্রবল চাপের কাছে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করল পাকিস্তান। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পাঞ্জাবের আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে পূর্ণমকুমার সাউকে হস্তান্তর করা হয়।   

BSF জওয়ান পিকে সাউয়ের স্ত্রী রজনী সাউ জানালেন, '১২টার সময় আমার স্বামী ফোন করেছিল। বলল, রজনী, আমি একদম ঠিকঠাক আছি। দুশ্চিন্তা করো না...২২-২৩ দিন কীভাবে কেটেছে, আমি আপনাদের বলে বোঝাতে পারব না। শুধু এটাই মনে হচ্ছিল, কবে আসবে, কীভাবে আসবে, আদৌ আসবে কিনা, কারণ ও তো এদেশে ছিল না, পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল।' 

স্বামীর মুক্তির জন্য অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই বিএসএফের সদর দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্ত্রী রজনী সাউ। অবশেষে ২২ দিনের মাথায় দেশে ফিরলেন রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান। স্বস্তি ফিরল পরিবারে। তাই তো রজনী বলছেন, আমার সিঁথির সিঁদুর ফিরিয়ে দিয়েছেন মোদিজি। ওঁকে ধন্যবাদ।

অন্যদিকে, এদিন বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রীকে ফোন করে কথা বলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রজনী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভগবান আপনাকে ভাল রাখুক। আপনার বাচ্চাদের ভাল রাখুক।