কলকাতা: ভারতের চাপের মুখে বাংলার BSF জওয়ানকে ছাড়তে বাধ্য হল পাকিস্তান অবশেষে দেশে ফিরলেন BSF জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। মুক্তির পর ফের বিএসএফ জওয়ানের পরিবারকে ফোন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। রিষড়ার জওয়ানের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
পরিবারকে ফোন মমতার: পঞ্জাবের ফিরোজপুরে ভুল করে সীমান্তের ওপারে চলে গেছিলেন পিকে সাউ। ২২ দিন পর পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেলেন রিষড়ার জওয়ান। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরলেন পিকে সাউ। এদিন পরিবারকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্ত্রী রজনীকে বলেন, "আমি যখনই শুনেছি রিলিজ় হয়ে গেছে তখনই ফোন করেছি। আপনারা এখন হাসিতে থাকুন। আমার অনেক শুভকামনা রইল।'' পিকে সাউয়ের স্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
ভারতের আরও এক কূটনৈতিক জয়। দেশে ফিরলেন পাক বাহিনীর হাতে বন্দি বাংলার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। ভারতের প্রবল চাপের কাছে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করল পাকিস্তান। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পঞ্জাবের আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে পূর্ণমকুমার সাউকে হস্তান্তর করা হয়। ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। পহেলগাঁও সন্ত্রাস নিয়ে সংঘাতের আবহে পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা, বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ।
সূত্রের খবর, গত ২৩ এপ্রিল ফিরোজপুরে বর্ডারে ডিউটি করার সময়, ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে যান তিনি। তখনই তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জার্স। ঘটনার পর থেকেই গভীর উদ্বেগে ছিল তাঁর পরিবার। বিএসএফ জওয়ানের চোখ বাঁধা ছবি সামনে আসার পর সেই উৎকণ্ঠা আরও বেড়ে যায়। বারবার ফ্ল্যাগ মিটিংয়েও সুরাহা মিলছিল না। স্বামীর মুক্তির জন্য অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই বিএসএফের সদর দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্ত্রী রজনী সাউ। অবশেষে ২২ দিনের মাথায় দেশে ফিরলেন রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান। স্বস্তি ফিরল পরিবারে। এদিন পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "BSF জওয়ানের মুক্তির খবর পেয়ে আমি খুশি। পূর্ণম কুমার সাউয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। আমি ৩ বার BSF জওয়ানের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আজও ফোন করেছিলাম। পূর্ণম কুমার সাউ ও তাঁর পরিবারকে শুভেচ্ছা।'