কলকাতা : বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে গান স্যালুটে শেষ বিদায় দিতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বৃহস্পতিবারই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে। কিন্তু সেই ইচ্ছেতে সম্মতি দেয়নি আলিমুদ্দিন। গান স্যালুট হচ্ছে না ।
বরাবর ছিমছাম জীবনযাত্রাই পছন্দ করতেন তিনি। এমনকী ফুলের ভারও পছন্দ ছিল না কম্যুনিস্ট নেতার। মৃত্যুর পর ও যাতে মানুষের কাজে লাগে তাঁর দেহ, তাই দান করে গিয়েছিলেন দেহ ও দুটি চোখ। সেই ইচ্ছেকে দেওয়া হয়েছে সম্মান। শেষযাত্রায় তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়, যে বিধানসভাকে তিনি বিদায় জানিয়ে এসেছিলেন ১৩ বছর আগেই। আজ সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বর্তমানে বিধানসভার সদস্যরা। সেখানে সব দল মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর গান-স্যালুট দেওয়ার ইচ্ছেতে মান্যতা দেয়নি আলিমুদ্দিন।
শুক্রবার পিস ওয়ার্ল্ড থেকে লাল পতাকা এবং লাল গোলাপে মুড়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মরদেহ বের করা হয় । তারপর তা পৌঁছয় বিধানসায়। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এখনকার সদস্যরা। এরপর আলিমুদ্দিনে মুজফফর আহমেদ ভবনে পৌঁছয় তাঁর দেগ। সেখান থেকে দীনেশ মজুমদার ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে বুদ্ধবাবুর মরদেহ । সেখান থেকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে NRS-এ। দান করা হবে দেহ। এর মধ্যে গান স্যালুটের জন্য কোনও সময় বরাদ্দ করা হয়নি।
শুক্রবার CPIM-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আড়ম্বরহীন জীবনে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর শেষযাত্রাও আড়ম্বরহীনই হবে । তাই গান স্যালুটের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সেলিম বলেন, তাঁর কথায় ও কাজে কোনও তফাৎ ছিল না। আজীবন আড়ম্বরহীনতায় বিশ্বাস করেছেন। তাই তাঁকে ঘিরে কোনও আড়ম্বর হোক, তিনিও চাননি , আমরাও চাই না।
সেলিম বলেন, ২০১১ সালের মে মাসে তাঁর সঙ্গে বিধানসভার সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। সিপিএমেরও সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। এরপর আর কোনও আদিখ্যেতা কেউ না দেখালেই ভাল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও পড়ুন
দলীয় পতাকা, ফুলে শেষ শ্রদ্ধা, পিস ওয়ার্ল্ডে শায়িত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ