সৌমিত্র রায়, কলকাতা: আগের চেয়ে কিছুটা স্থিতিশীল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। ভেন্টিলেশন থেকে বের করে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ সকালে বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা হবে। তার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন টেস্টের রিপোর্ট আগের থেকে অনেকটাই ভাল ছিল গতকাল। আজ ফের CRP টেস্ট হতে পারে। ফুসফুসে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ায়নি, শ্বাসকষ্টও কিছুটা কমেছে। তবে আজকের দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এখনও পর্যবেক্ষণেই রাখা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।                                               


ভেন্টিলেশন থেকে বেরোনোর পর এখন সম্পূর্ণ সচেতন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বারবার বাইপ্যাপ সাপোর্ট খুলে ফেলতে চাইছেন বুদ্ধবাবু। চিকিৎসকদের জানান, তিনি সুস্থ আছেন, এসব লাগবে না। যদিও শেষমেষ বুদ্ধবাবুকে বুঝিয়ে রাজি করান চিকিৎসকরা। আপাতত ঠিক হয়েছে, ৫-৬ ঘণ্টা বাইপ্যাপ চালিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিয়ে ফের চালানো হবে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সংক্রমণ এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। অ্যান্টিবায়োটিক চলছে, ১-২ লিটার, অর্থাৎ ন্যূনতম অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে। তবে এখনও রাইলস টিউব দিয়ে তরল খাবারই খাওয়ানো হচ্ছে বুদ্ধবাবুকে।  যদিও তাতেও আপত্তি রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর, এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর। 


এদিকে, সোমবারই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখে এসে মমতা বলেন, 'আমি দেখলাম ওঁর জ্ঞান আছে। হাত নাড়লেন। ভালই আছেন। ভেন্টিলেশন খুলে নেওয়া হয়েছে। বাইপ্যাপ সাপোর্ট চলছে। আমার দেখে মনে হয়েছে উনি ভালই আছেন। বাকি চিকিৎসকরা জানাবেন।' যারপরই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা সরকারিভাবে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন খুলে নেওয়ার কথা জানান। আগের থেকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অনেকটা ভাল আছেন'। 


আরও পড়ুন, 'বুদ্ধবাবু যদি অসৎ হন, তাহলে ভগবান বুদ্ধর সততা নিয়ে আলোচনা করতে হয়!', মন্তব্য মদনের


অন্যদিকে, অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আরও বেলাগাম আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ। রবিবার তিনি বলেছিলেন, যারা আদিখ্য়েতা করে তাঁকে মহাপুরুষ সাজাচ্ছেন তার সঙ্গে একমত নই। সোমবারও সেই সুর বজায় রাখলেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক। যদিও, উল্টো সুরে তৃণমূলেরই বিধায়ক মদন মিত্র বলছেন, বুদ্ধবাবু যদি অসৎ হন, তাহলে ভগবান বুদ্ধর সততা নিয়ে আলোচনা করতে হয়!