কলকাতা: ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharya Health Update)। এই মুহূর্তে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট ছাড়াই রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এখন তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হবে। রিপোর্টে পরিস্থিতির অনুকূল দেখেই এই পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত, খবর হাসপাতাল সূত্রে। এর আগে হাসপাতালে ভর্তি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতির খবর মিলেছিল।
কেমন আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?
সঙ্কট এখনও কাটেনি বাইল্য়াটারাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। তবে আশা জাগাচ্ছে সি রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন টেস্টের রিপোর্ট। চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে ভর্তির সময় যার মাত্রা ছিল সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি। তা এখন দেড়শোর কাছাকাছি নেমে এসেছে। অর্থাৎ, অর্ধেকের বেশি কমে গিয়েছে। এর ফলে চিকিৎসকরা মনে করছেন, বুদ্ধবাবুর ফুসফুসে ও শরীরে সংক্রমণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া, শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমেছে। যাতে চিকিৎসকরা মনে করছেন, অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় না দিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় দেওয়া যেতে পারে। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মেডিক্যাল বোর্ডে।
সকালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ফুসফুসের সিটি স্ক্যান করা হয়। সিটি থোরাক্স রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা মনে করছেন, বুদ্ধবাবুর ফুসফুসে সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ হতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ছবি দেখে মনে হচ্ছে, ফুসফুসে সংক্রমণ এখন অর্গানাইজিং পর্যায়ে রয়েছে। অর্থাৎ, সংক্রমণ আর বাড়ছে না। এছাড়াও, দেখা গিয়েছে বুকে সংক্রমণের কারণে জল জমার পরিস্থিতি নেই। তবে, বাঁদিকের ফুসফুসের নীচের অংশ ও ডানদিকের ফুসফুসের নীচের দিকের মাঝামাঝি অংশে সংক্রমণ রয়েছে। সিওপিডি-র পুরনো সমস্যা, ফাইব্রোসিসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস। সেই ক্ষতির পরিমাণ কতটা, তা বুঝতে পুরনো সিটি স্ক্যান রিপোর্টের সঙ্গে নতুন রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে বুদ্ধবাবুকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা আনার প্রক্রিয়া শুরু করবেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অ্যান্টিবায়োটিক কতটা কাজ করছে, সিটি থোরাক্স এবং সি রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন টেস্টের ফলাফল দেখে, তা বোঝা যাবে। গত ২৪ ঘণ্টা জ্বর আসেনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। চিকিৎসকরা মনে করছেন, অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করায় জ্বর আসা বন্ধ হয়েছে। সি রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন টেস্টের রিপোর্ট দেখে বুদ্ধবাবুর ভেন্টিলেশন নির্ভরতা ধাপে ধাপে কমানো নিয়ে চিকিৎসকরা আলোচনা করবেন।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর সঙ্কট ফুসফুসেই। সংক্রমণ শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়েছে এমন ইঙ্গিত না মিললেও, ভেন্টিলেশন থেকে সিওপিডি-র রোগীকে বের করে আনা অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চলছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি সচেতন রয়েছেন, ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee : অভিষেকের ডাকা বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি বাতিল হাইকোর্টে