বর্ধমান, কমলকৃষ্ণ দে: ট্রেনে কর্তব্যরত অবস্থায় সার্ভিস রিভলভার থেকে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী কনস্টেবল। বর্ধমানে (Burdwan) চলন্ত ট্রেনে আত্মঘাতী হলেন জিআরপির (GRP) কনস্টেবল। পারিবারিক অশান্তির জেরেই তাঁর ছেলে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার।                               

  


ট্রেন ছুটছে বর্ধমানের দিকে! হঠাৎই চলন্ত ট্রেনের মহিলা কামরায় গুলির আওয়াজ! বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল। দেখা গেল, ট্রেনের মহিলা কামরায় এক পুলিশ কর্মীর গুলিবিদ্ধ ও রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে!প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নিজের রিভলভার থেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন তিনি। মৃতের নাম শুভঙ্কর সাধুখাঁ। পেশায় জিআরপির কনস্টেবল শুভঙ্করের বাড়ি বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর মোড় এলাকায়।


পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমান জিআরপি-তে তাঁর পোস্টিং ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে, তাঁর ডিইটি ছিল আপ হাওড়া (Howrah) বর্ধমান (Burdwan) লোকালের মহিলা কামরায়। ট্রেন পালসিট স্টেশনের কাছে আসতেই, হঠাৎ সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বর্ধমান GRP। 


গাড়ির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক কনস্টেবলের: কিছুদিন আগে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্য়ু হয় এক কনস্টেবলের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কালিগঞ্জের দেবগ্রামে। স্থানীয় ও মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে মায়ের জন্য় ওষুধ কিনতে দেবগ্রাম বাজারে যাচ্ছিলেন পুরুলিয়ায় কনস্টেবল পদে কর্মরত শেখ শামিম রেজ্জা। দেবগ্রাম কালিগঞ্জ রাজ্য় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে একটি পুলিশের গাড়ি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্য়ু হয় বছর ৩০-এর ওই কনস্টেবলের। এর পরে মৃতের পরিবারের লোকজন দেবগ্রামে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। 


লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীর: খাস কলকাতায় বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীর। ভোর ৫টা নাগাদ মানিকতলা মোড়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছিল ডিউটি সেরে মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন পশ্চিম বন্দর থানার কনস্টেবল অভিজিৎ চক্রবর্তী। রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট ও বিবেকানন্দ রোডের সংযোগস্থলে দুর্ঘটনা ঘটে। মানিকতলা মোড়ের দিকে যাওয়ার সময়, পুলিশ কর্মীর বাইকে ধাক্কা মারে পণ্যবাহী বেপরোয়া লরি। পুলিশ কর্মী রাস্তায় পড়ে গেলে, তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে লরি ও চালকের খোঁজ চালাতে শুরু করে মানিকতলা থানার পুলিশ।