কৌশিক গাঁতাইত, বর্ধমান: এক কোটি, দু’কোটি নয়, ৯০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ। তাতে জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল বর্ধমানের পুর প্রশাসক (Burdwan Municipal Chairperson) তথা তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের (Pranab Chatterjee)। বরং তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। যদিও পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছে তাঁর পরিবার।
তিন দিনের রিম্যান্ড শেষে সোমবার আসানসোলের সিজেএম আদালতে তোলা হয় প্রণবকে। দুপুর ২টো নাগাদ আদালতে শুনানি শুরু। সেখানে প্রণবের জামিনের আবেদন করেন তাঁর দুই আইনজীবী ভোলানাথ মণ্ডল এবং শেখর কুণ্ডু। আদালেত তাঁরা জানান, প্রণবের বিরুদ্ধে সুষ্পষ্ট কোনও তথ্য-প্রমাণ দেখাতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। তাই তাঁর জামি মঞ্জুর করা হোক।
কিন্তু সিবিআই-এর আইনজীবী এস সাচেন প্রণবের জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি যুক্তি দেন, প্রণব প্রভাবশালী নেতা। তাঁকে জামিন দেওয়া হলে সাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিবিআই-এর আইনজীবী আরও জানান, সন্মার্গ নামের চিটফান্ড সংস্থাটি (Chit Fund Scam) ৯০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের কাছে প্রতারিত হয়েছেন। এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জডি়য়ে রয়েছেন প্রণব।
সিবিআই-জমা দিলে তবেই নির্দিষ্ট ভাবে জানা যাবে।
তবে সিবিআই-এর আইনজীবীর যুক্তিই শেষ পর্যন্ত খাটে আদালতে। ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয় প্রণবকে। এ দিন আদালতে শুনানি চলাকালীন, আদালত চত্বরে ভিড় করেন অনুগামীরা। প্রণবের পরিবার এবং তাঁর অনুগামীদের দাবি, ভোটের মুখে সিবিআই-কে ব্যবহার করে প্রণবকে ফাঁসাচ্ছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবির যদিও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
২০১৮ সাল থেকে এই চিটফআন্ড মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সম্প্রতি যে চার্জশিট জমা দেয় তারা, তাতে প্রণবের নাম ছিল না। সিবিআই-এর দাহি, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে প্রণবের নাম থাকবে। গত বৃহস্পতিবার জেরার জন্য প্রণবকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। তিনি গেলে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়। পর দিন সকালে প্রায় পৌনে চার লক্ষ টাকার লেনদেন হয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের।