কলকাতা: বৃহস্পতিবারই হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পরীক্ষা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের জন্য় পরীক্ষার দিন না বদলে শেষ অবধি নিজের অবস্থানেই অনড় রইলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। এই কড়া অবস্থানের আবহেই, উল্টো ভূমিকা নিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়। একেবারে শেষবেলায় বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা করলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য। তাঁর দাবি, পড়ুয়াদের আবদার রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্য়ে সমাবেশ। আর বৃহস্পতিবারই হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পরীক্ষা। কোনও রাজনৈতি দলের সভা-সমাবেশের জন্য় পরীক্ষা বদলানো যায় না। এই কথাতেই শুরু থেকে শেষ অবধি অনড় রইলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। পাল্টা শুরুর মতোই শেষ অবধিও তাঁকে লক্ষ্য় করে আক্রমণ শানাল তৃণমূল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশের দিনই পরীক্ষা নিয়ে, কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের এই কড়া অবস্থানের আবহেই, উল্টো ভূমিকা নিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়। একেবারে শেষবেলায় বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য। তাঁর দাবি, তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ছিল না। পড়ুয়াদের আবদার রাখতেই পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য শঙ্করকুমার নাথ বলেন, "M.A বাংলা টার্ম পেপার এবং ভাইভা ...ছিল এম এর তার সঙ্গে কমিউনিটি এনগেজমেন্ট ভাইভা ছিল পোস্ট গ্রাডুয়েট কোর্স এর সঙ্গে বাংলা বিভাগের আরও কিছু ১১টার সময় ছিল, সেটা পোস্টপন করেছি। আমাদের ছাত্রদের আবদার ছিল ওরা কলকাতা যেতে চায়। আর কালকের পরীক্ষাটা এমন কিছু মাহাত্ম্য়পূরণ নয় এটা যদি পরেও নেওয়া যায় ওরা করে ফেলতে পারবে। এটা রেগুলার পরীক্ষা যেমন হয় এটা ইন্টারনাল এক্সাম। ক্য়ালকাটা ইউনিভার্সিটি আলাদা মতাদর্শ। ছাত্রদের আবদার তো রাখতে হবে।''
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, "পরীক্ষা তো হবেই। যেমন হওয়ার তেমন হবে। আমি তো বলব ভয় যেমন ছোঁয়াচে, সাহসও তেমন ছোঁয়াচে। কন্ট্রোলার সাহেব, সবাই সাহস অর্জন করেছেন। ছেলেখেলা তো নয় এটা। আমরা এরকম একটা কারণের জন্য় পরীক্ষা পিছতে পারি না। পার্টি এবং সরকারকে গুলিয়ে আমি অনন্ত ফেলতে চাই না। গুলিয়ে যাওয়ার মতো বহু কারণ আছে। ওরা পার্টির মতো পার্টি প্রতিবাদ করছে। কিন্তু সরকারের বোঝানো উচিত। এই চেয়ারে সেই মানুষেরই বসা উচিত, যাঁর সম্পূর্ণ অ্য়াকাডেমিক স্বাধীনতা থাকবে। কোনও রাজনৈতিক দল তাঁকে নির্দেশ দেবে না। এই ডেটগুলো কিন্তু উপাচার্য ঠিক করেনি। সব ভাগ করা আছে। আমার ইচ্ছা হল, এই এই ডেটে পরীক্ষা করে দিলাম। এমন হয় না। এই পরীক্ষার জন্য় এক্সপার্ট মানুষজন বসে কাজ করেছেন। এর একটা দিন এদিক-ওদিক করা মানে ভীষণ বিপদ। ভীষণ মুশকিল।''