কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: হস্টেলে নিরাপত্তা, পানীয় জল সহ একাধিক দাবিতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়াদের একাংশ। উপাচার্যের ঘরের সামনে বসে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান- বিক্ষোভ করেন তাঁরা। উপাচার্যের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পরে অবস্থান উঠে যায়।
পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন চত্বর। রাজবাটি ক্যাম্পাসে উপাচার্যের অফিসের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে প্ল্যাকার্ড হাতে সেখানেই বসে পড়েন পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বেহাল অবস্থা। পানীয় জল থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, কোনওটাই নেই হস্টেলে। বর্ষার সময়ে আগাছায় ভরা হস্টেলে সাপের উপদ্রব বাড়ছে। থাকতে গিয়ে প্রচন্ড সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া পূর্ণেন্দু দাস বলেন, "হস্টেলে এই বর্ষাকালে ঠিকঠাক পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন প্রান্ত থেতে ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে পড়াশোনা করার জন্য। সঠিকভাবে বিদ্যুৎ, পানীয় জল, নিরাপত্তা, এগুলো পাচ্ছে না। যেসব নিরাপত্তাকর্মীরা আছেন, একজনও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্রেনিং সিকিওরিটি সার্ভিস আমরা চাই।''বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গাড়ি বারান্দায় উঠে আসেন পড়ুয়ারা। সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেখানে পৌঁছন উপাচার্য শঙ্করকুমার নাথ। তাঁকে দেখেই স্লোগান দেওয়া শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। প্রথমে নীচে বসে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। পরে দোতলায় উপাচার্যের ঘরের সামনে উঠে আসেন তাঁরা। উপাচার্যের ঘরের বারান্দার সামনে বসে চলে বিক্ষোভ। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও চলে, তারপরে দুপুর আড়াই নাগাদ উপাচার্যের কাছে ডেপুটেশন জমা দেয় পড়ুয়াদের প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া অহনা বসু বলেন, "মেয়েদের হস্টেল প্রচন্ড নোংরা, সেটার সাফাই দরকার, প্রতিটা মেয়েদের হস্টেলে নিরাপত্তা দরকার। অর্ধেক পাম্প খারাপ, নিরাপত্তারক্ষীর একটা সমস্যা রয়েছে, সব সময়ে তাঁরা থাকে না, সেখানে একটা সমস্যা রয়েছে, আমাদের নিরাপত্তা দরকার।''
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা। ২৮ অগাস্ট ঘোষিত কর্মসূচির দিন পরীক্ষা নিয়ে আপত্তি জানাল TMCP। দিল্লির ইশারায় চলা এক রাজনৈতিক অপকৌশল বলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে ফেসবুকে নজিরবিহীন আক্রমণ শানালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি। তবে এই বিষয়ে কড়া অবস্থান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্তের। পরীক্ষা দিতেই হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।