ভারতের বুকে দিনে দিনে ছেলে-মেয়েদের স্কুলের বেতন বেড়েই চলেছে। আর তা নিয়েই সম্প্রতি গুগলে কর্মরত এক দম্পতির রেডিট পোস্ট ঘিরে বিতর্ক উঠেছে চরমে। এই পোস্টে সেই দম্পতি জানিয়েছিলেন যে তাদের একটি সন্তানের স্কুলের ফি (School Fee) বাবদই বছরে ১১.২ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়। আর এই পোস্ট ঘিরেই শহরে শিক্ষার খরচ বৃদ্ধি এবং শ্রেণিকক্ষের সুযোগ সুবিধে নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমাজমাধ্যমে এক ব্যক্তি এই পোস্টের (Viral Post) সাপেক্ষে জানিয়েছেন যে গুগলে কর্মরত বার্ষিক ৬০ লক্ষ টাকা যৌথ আয়ের এক তরুণ দম্পতির আর্থিক পরিকল্পনা ও বার্ষিক খরচের নথি দেখে তিনি বাকরুদ্ধ হয়েছেন।
এই পোস্টের কমেন্টে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আমি যখন তাদের ক্যাশফ্লোর দিকে তাকাই, তখন তাদের একটি সন্তানের স্কুলের ফি ১২ লক্ষ টাকা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও ২-৪ লক্ষ টাকা স্কুলের খরচ অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু ১১.২ লক্ষ টাকার স্কুলের খরচ নিয়ে এর আগে কেউই তেমন অভ্যস্ত নয়।’ মূল পোস্টে আরেক ব্যক্তি নিজের মতামত যোগ করে লেখেন, ‘আমি বলতে চাইছি স্কুল ফি-র জন্য প্রথমবার এত ভাল পরিসংখ্যান পেলাম। ২-৪ লক্ষ টাকা আগেও দেখেছি, তবে কখনই ৫-৬ লক্ষ টাকার বেশি যায়নি স্কুলের খরচ। আর এখানে আমি ভাবছি ২০-৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে এমবিএ করব কিনা।’ রেডিটের এই পোস্ট অভিজাত শিক্ষার সংস্কৃতি এবং শ্রেণি বিভাজন নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
রেডিটে ২৪ জুলাই এই পোস্ট শেয়ার করেছেন উক্ত দম্পতি। ইতিমধ্যেই ১২০০ আপভোট পেয়েছে এই পোস্ট আর তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন কমেন্টে লিখেছেন, ‘অনেক মানুষই এটা বোঝে না যে টাকা কীভাবে কাজ করে, আসলে এটি একটি ওল্ড বয়েজ ক্লাবের মত কাজ করে। আপনি টাকা দিয়ে যাই কিনছেন তা সে স্কুল হোক, সামার ক্যাম্প হোক বা কোনও প্রতিবেশির সান্নিধ্য, সবকিছুই আদপে আপনার শিশুকে এমন একটা পরিমণ্ডল দিচ্ছে যেখানে ধনী ব্যক্তিদের ওঠাবসা, তাদের মনোভাবের প্রতিফলন থাকে এবং আপনার শিশু বুঝে নিতে পারে ঠিক কোন পথে তাঁকে এগোতে হবে।’
তবে এই ধারণাকে নস্যাৎ করে এক নেটিজেন লেখেন, ‘অতিরিক্ত ধনীদের গ্রুপের প্রভাবে আমার শিশু প্রভাবিত হলে আমার অস্বস্তি হবে, আমি চাই আমার সন্তানের পা যেন মাটিতে থাকে। বাস্তবের জমিতে থাকে এবং সে যেন সহৃদয় হয়।’
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI