রঞ্জিৎ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিক্ষকের (teacher) বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টারের (coaching centre) মধ্যেই দিনের পর দিন ছাত্রীকে (student) ধর্ষণের (rape) অভিযোগে চাঞ্চল্য নরেন্দ্রপুরে (narendrapur)। ভয়ে-লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা (attempt to suicide) করল পড়ুয়া, দাবি পরিবারের। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার (arrest) শিক্ষক।
কী অভিযোগ?
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বলবীর সিং। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার লস্করপুরে 'সিং এন্ড শাও' নামে একটি কোচিং সেন্টারে পড়ান তিনি। সেন্টারটির মালিকানাও তাঁর। অভিযোগ, ওই সেন্টারেই দিনের পর দিন এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করতেন বলবীর। অভিযোগ, 'স্পোকেন ইংলিশ' শেখানোর অজুহাতে নিজের খেয়ালখুশি মতো নির্যাতিতাকে ডেকে পাঠাতেন। তার পর চলত অত্যাচার। অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে ওই পড়ুয়া যাতে কাউকে কিছু না বলে সেই জন্য অনুরোধ-আর্জির পাশাপাশি খুনের হুমকিও দেওয়া হত তাকে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, দিনের পর দিন অত্যাচার চলতে থাকায় একসময়ে ভয়ে ও লজ্জায় বাড়ির বাথরুমে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সে। ঘটনাটি নিয়ে বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। মা তাকে প্রশ্ন করলে সব কিছু খুলে বলে নির্যাতিতা। এর পরই নরেন্দ্রপুর থানা দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার মা। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
আগেও ঘটনা...
শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী নিগ্রহের অভিযোগ নতুন নয় রাজ্যে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতাতেই স্কুল চলাকালীন সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, ওই ছাত্রীকে অফিস ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন দিলীপ মণ্ডল নামে অভিযুক্ত শিক্ষক। পরে নির্যাতিতা তার এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানায়। ওই সহপাঠী নির্যাতিতার বাড়িতে জানালে আত্মীয়রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়। গত এপ্রিলে আবার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সল্টলেকের গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল সে বার। পরে অশ্লীল ভিডিও তুলে ভাইরাল করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগেও নাম জড়ায় তাঁর। বিধান নগর মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয় শিক্ষককে।
তার পর ফের নরেন্দ্রপুরের ঘটনা।
আরও পড়ুন:যতীন দাস পার্কে বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার, পথ আটকাল পুলিশ