কলকাতা: এলগিন রোডে (Elgin Road) স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে (Businessman Murder) গ্রেফতার অভিযুক্ত। আমদাবাদ (Ahmedabad) থেকে গ্রেফতার করল কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, “স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের পর পরিবারের থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। মুক্তিপণ আদায় করে ভোলবদলে একাধিক রাজ্যে, ‘মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।‘’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “অন্য ব্যক্তির নামে তোলা সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল। মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।‘’


গত ফেব্রুয়ারি মাসেএলগিন রোডের এক গেস্ট হাউস থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা প্রাথমিক অনুমান করেন, গলায় টেলিফোনের তারের ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, অপহরণ করে ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, লি রোডের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী এস এল বৈদ-কে নিয়ে এক ব্যক্তি গতকাল এলগিন রোডের ওই গেস্ট হাউসে যায়। ব্যবসায়ীকে পরিচয় দেয় নিজের কাকা বলে।  এরপর, একটা সময় চেক আউট না করে ওই ব্যক্তি গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে যায়।  রাতে পুলিশ ঘর থেকে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের দাবি, ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল।


এরপরই মুক্তিপণ আদায় করে যে হলুদ ট্যাক্সিতে পালিয়েছিল অভিযুক্ত, তার হদিশ মেলে।  ট্যাক্সি চালককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। জানা যায়, ঘটনার দিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সাউথ গেটের সামনে ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যের পরিবার মুক্তিপণের ২৫ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিল অভিযুক্তর হাতে।  তারপর কটি হলুদ ট্যাক্সি নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় অভিযুক্ত। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, ভিক্টোরিয়া চত্ত্বর সহ বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হদিশ মেলে সেই হলুদ ট্যাক্সির। জোড়াবাগান থানা এলাকার যদুনাথ মল্লিক লেনে পাওয়া যায় ট্যাক্সি চালককে। পুলিশ সূত্রে দাবি, চালক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ঘটনার রাতে ক্যাথিড্রাল রোড, পার্ক স্ট্রিট হয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে নেমে যায় অভিযুক্ত।


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের