সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: হাইকোর্টেই (calcutta high court) গ্রেফতার (arrest) আর্থিক দুর্নীতিতে (financial irregularity) অভিযুক্ত হাওড়ার ব্যবসায়ী  (howrah Businessman) শৈলেশ পাণ্ডে। গ্রেফতার শৈলেশের-সহযোগী প্রসেনজিৎ দাসও। গত অক্টোবরে শৈলেশের হাওড়ার বাড়ি থেকে ইডি অভিযানে ৮ কোটি টাকারও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। গ্রেফতার হন ওই ব্যবসায়ীর দাদা ও ভাই-সহ ৪ জন। সম্প্রতি নিম্ন আদালত থেকে এই মামলায় জামিন পান শৈলেশ ও প্রসেনজিৎ। আজ দুই অভিযুক্তকে এজলাসে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই মোতাবেক এজলাসে হাজির ছিলেন ২ জন। নিম্ন আদালতের রায়কে খারিজ করে তৎক্ষণাৎ ২ অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সঙ্গে দুপুর ৩টের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির করানোর জন্য ইডি-কে নির্দেশ।


প্রেক্ষাপট...
গত অক্টোবরে শিবপুরের মন্দিরতলায় টাকার পাহাড়ের হদিশ মিলেছিল। নগদে ৮ কোটি ১৫ লক্ষ ছাড়াও দুটি ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টে আরও ২০ কোটি টাকা পাওয়া যায় বলে খবর। শিবপুরের অভিজাত আবাসন ক্লাব টাউন রিভারডেলে ব্যবসায়ী ও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শৈলেশ পাণ্ডের গাড়ি থেকে নগদ ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। রাতে মন্দিরতলায় ব্যবসায়ীর আরও একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। বক্স খাটের মধ্যে লুকিয়ে রাখা আটটি ব্যাগের মধ্যে ছিল টাকা। উদ্ধার প্রচুর সোনার গয়না। রহস্যজনক লেনদেন নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। সেই সময় সপরিবারে পলাতক ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল তাদের অভিযানের কিছুক্ষণ আগে কয়েকটি ব্যাগ গাড়িতে তুলে পালিয়ে যাচ্ছেন শৈলেশের ভাই অরবিন্দ ও তাঁর মা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই ব্যাগেও টাকা পাচার করা হয়ে থাকতে পারে। এর পাশাপাশি, সিসিটিভি ক্যামেরায় শৈলেশকে টাকা ভর্তি গাড়ি ফেলে পালিয়ে যেতেও দেখা গেছে। শৈলেশ কি তা হলে পুলিশি অভিযান সম্পর্কে জানতে পেরে গিয়েছিলেন? কে খবর দিয়েছিল তাঁকে? রহস্যজনক লেনদেন নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, এই বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছিল বিদেশ থেকেই। তাঁদের ধারণা, কালো টাকা সাদা করতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। আর শৈলেশ পাণ্ডেই ছিলেন সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের ইনট্রোডিউসার। মূলত তাঁর মাধ্যমেই চলত কালো টাকা সাদা করার কারবার, অনুমান পুলিশের। 


আরও পড়ুন:'পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিক কাবাব তৈরি করবে আমাদের ছেলেরা,' ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মদনের