সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় ভর্ত্‍‍সনা হাইকোর্টের। ‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দুর্নীতি ও অসৎ আচরণের জন্য বিখ্যাত, কিছু আধিকারিক ও আমলার অপদার্থতায় আসল যোগ্যরা সুযোগ পান না’, ২০১৪-য় টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় মন্তব্য বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি মামলাকারী নেফাউর শেখকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ, ‘৪ সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ নিয়ে প্রাপ্ত নম্বর দিতে হবে’। ইন্টারভিউয়ে যোগ্য হলে চাকরি দিতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের। 


'প্রকৃত যোগ্যরা সুযোগ পান না কিছু আধিকারিক ও আমলাদের অপদার্থতায়'


প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নের জন্য, ৬ করে নম্বর বাড়ে পরীক্ষার্থীদের। নেফাউর শেখ নামে, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা, এক মামলাকারী দাবি করেন, পর্ষদের এই ভুলের জন্য তিনি বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। নেফাউরের দাবি, তিনি ২০১৪ সালে TET দিয়েছিলেন। কিন্তু পাশ করতে পারেননি। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর, ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলা করেন নেফাউর। ২০২১ সালে, পর্ষদ জানায়, তিনি অতিরিক্ত ৬ নম্বর পেয়েছেন এবং পাস করেছেন। কিন্তু ততদিনে, তাঁর বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে। ফলে, ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি তিনি। এই সমস্যার কথা জানিয়ে, আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থী নেফাউর। তারই প্রেক্ষিতে এদিন, নেফাউর শেখকে ইন্টারভিউয়ে বসানোর নির্দেশ দেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 



প্রসঙ্গত, জুন মাসে, শহিদ মিনার চত্বর থেকে, এভাবেই SSC চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান তুলে দিয়েছিল পুলিশ। সম্প্রতি সল্টলেকে, TET উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদেরও, মাঝরাতে টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ। ক'দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য, নবান্ন যেতে চেয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন ২০০৯ সালের, দক্ষিণ ২৪ পরগনার, প্রাথমিক শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীরা। নবান্ন যেতে চাইলেও, শুরুতেই তাঁদের আটকে দেন ময়দান থানার পুলিশ অফিসাররা। তাঁদের আন্দোলনকারীদের নবান্নের ইমেল আইডি দেওয়া হয়। এই চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা বাম আমলে প্রথম চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ১৩ বছর ধরে চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে গাঁধী মূর্তির নীচে তাঁদের অবস্থান চলছে। উৎসবের মরশুমেও ওঁদের জীবনে শুধুই অন্ধকার। পরিবার-পরিজন ছেড়ে পথের ধারেই কাটছে দিন। তবুও হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা।


আরও পড়ুন- বিজেপিরই পাশে মতুয়ারা? 'রাজ্য নেতৃত্ব বলবে', শান্তনু মন্তব্যে অস্বস্তি