কলকাতা: গুজরাতে (Gujarat) সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (PM Modi) টুইটে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। উল্লেখ্য, ২০১৬-তে কলকাতায় পোস্তা উড়ালপুল বিপর্যয়ের পর কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ের পর ট্যুইটে সেই প্রসঙ্গ টেনে সুখেন্দুশেখর রায় ( Sukhendu Sekhar Roy) লিখেছেন, সংস্কারের পর গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ে ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। 'একটু চোখের জল ফেলুন, মোদিজী।' 


গুজরাতে নদীতে ব্রিজ ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয়। গুজরাতের মোরবিতে ভেঙে পড়ে কেবল ব্রিজ (Cable Bridge)। দুর্ঘটনার সময় ব্রিজের ওপরে শতাধিক মানুষ ছিলেন। মেরামতির ৪ দিনের মধ্যেই গুজরাতের মোরবিতে ভেঙে পড়ে ব্রিজ। রবিবার রাতের এই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের পর মর্মান্তিক দৃশ্য নজরে আসে।  কেউ প্রাণ বাঁচাতে ব্রিজের কেবল ধরে ঝুলছেন, ব্রিজের কেবল ধরে বাঁচার চেষ্টায় কেউ ঝুলছেন ব্রিজের ভাঙা অংশ ধরে। সাঁতরে পাড়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন অনেকে।  চারিদিকে আর্তনাদ! ছটপুজোর সন্ধ্যায় গুজরাতের মোরবিতে ভয়ঙ্কর ব্রিজ-বিপর্যয় যখন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিদের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠেছে তখন গেরুয়া শিবিরেই নেমে এল শোকের ছায়া। মারা গেলেন গুজরাতের বিজেপি নেতার বাড়ির বেশ কয়েকজন। ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনায় বিজেপি সাংসদ মোহন কুন্ডারিয়ার পরিবারের সদস্যরাও মারা গেছেন। সাংসদ মোহন কুন্ডারিয়ার বোনের পরিবারের ১২ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। 


আরও পড়ুন, 'অভিনয় জগতের বড় ক্ষতি', সোনালি চক্রবর্তীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর


১৮৭৯ সালে, মাচ্ছু নদীর ওপর ৭৬৫ ফুট দীর্ঘ সেতুটি তৈরি হয়। ঝুলন্ত এই সেতুটি পর্যটকদের কাছে ছিল অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। সংস্কারের জন্য চলতি বছরে প্রায় ৭ মাস বন্ধ ছিল সেতুটি। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের পর দিন চারেক আগেই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বহন ক্ষমতার থেকে বেশি পর্যটক একসঙ্গে সেতুর ওপর উঠে পড়ায় এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পরই আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। নিখোঁজদের সন্ধানে মাচ্ছু নদীতে তল্লাশি শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গুজরাতের বিধানসভার আগে মোরবিতে ব্রিজ বিপর্যয়ে মৃত্যুমিছিল। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের প্রশ্ন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই কীভাবে খুলে দেওয়া হল এই সেতু? উঠেছে সিবিআই তদন্তের দাবি। তৃণমূলের কটাক্ষ, বাংলা থেকে বিজেপি নেতাদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানো হোক! পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা কেন্দ্রের।