কলকাতা : এসএসসি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে আদালত। আবার নতুন করে তৈরি হবে প্যানেল। সেখানে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে হবে নতুন প্যানেল। হবে নতুন নিয়োগ।  এই নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল হতে চলেছে। এর মধ্যে একজনেরই চাকরি বাতিল করা হয়নি, সোমা দাসের। 


কে সোমা দাস ?
ইনি সেই সোমা দাস, যিনি ক্যান্সার আক্রান্ত অবস্থায় পথে বসে  ন্যায্যভাবে চাকরির জন্য আন্দোলন করেছিলেন। একসময় চিকিৎসা করার খরচ পর্যন্ত জোগার করতে পারছিলেন না সোমা। তখন তাঁর বিষয়টি নজরে আসে তখন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বিচারের দায়িত্বে থাকা বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তখন তিনি উদ্যোগ নিয়ে সোমা দাসের চাকরির ব্যবস্থা করেন।


এরপর ২০২২ সালের জুন মাসে দীর্ঘদিনের আন্দোলন শেষে স্কুলের চাকরিতে যোগ দেন ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাস। হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগপত্র পেয়ে নলহাটির মধুরা হাইস্কুলে বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন সোমা। চারবছর ধরে SSC-তে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন তিনি। স্কুলে যোগ দিলেও সোশাল মিডিয়ায় আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানাবেন বলে জানান সোমা। সোমবারও হাইকোর্টের রায় জানার পর সহযোদ্ধাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি। 


বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ  প্রায় ২৬ হাজারের চাকরি বাতিল করলেও মানবিক কারণেই চাকরি বহাল রাখল সোমা দাসের। 


সোমার প্রতিক্রিয়া 
আদালতের এই সিদ্ধান্ত শুনে কী বললেন সোমা ? তিনি বললেন, আন্দোলন করতে তিনি গিয়েছিলেন ক্যান্সার আক্রান্ত পরিচয়ে নয়, একজন যোগ্য চাকরিপ্রার্থী হিসেবেই। পরে তাঁর পরিস্থিতি দেখে আদালত তাঁকে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। তবে সোমা বলছেন, তাঁর সহযোদ্ধারা, ন্যায্য চাকরিপ্রার্থীরা যখন চাকরি পাবেন, তখনই তিনি খুশি হবেন।   


এক নজরে আদালতের রায়  



  • ২০১৬-র প্যানেল ও নিয়োগ অবৈধ। প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট

  • মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাঁরা চাকরি পেযেছেন, তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে ৪ সপ্তাহে। 

  • সমস্ত ওএমআর শিটের কপি আপলোড করার নির্দেশ হাইকোর্টের। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট।


 


আরও পড়ুন:SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুলে ২৫ হাজার ৭৫৩জনের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট