সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ভারতীয় সেনায় (Indian Army) পাকিস্তানি নাগরিক! আইএসআই ভারতীয় সেনায় লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ। ২ পাক নাগরিক এই মুহূর্তে ব্যারাকপুরে সেনা ক্যাম্পে কাজ করছে বলে মামলায় অভিযোগ। অবিলম্বে সিআইডি-কে অভিযোগ গ্রহণের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। 


ভারতীয় সেনায় লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা?


এদিন বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, “মারাত্মক অভিযোগ, দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার।’’ সিবিআই, জিওসি ইস্টার্ন কমান্ড ও মিলিটারি পুলিশকে মামলায় পার্টি করার নির্দেশ। সিআইডি-র কাছ থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট তলব। অভিযোগ, রাজ্যের পুলিশ, ভিনরাজ্যের পুলিশ, সেনাতে কর্মরত আধিকারিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যুক্ত আছে বলে অভিযোগ। একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক জাল আবাসিক শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে সহযোগিতা করছে। থানা ও পুরসভার মাধ্যমে এই দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ।                                               


নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার ভারতীয় সেনায় নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর অভিযোগ, পুলিশ ও প্রভাবশালী ও সেনা বাহিনীতে কর্মরতরা এই নিয়োগে যুক্ত। এই নিয়ে ফেক ডোমিসিয়াল সার্টিফিকেট জোগাড় করে দিচ্ছে। ভিন দেশ থেকে লোক এসে ফেক সার্টিফিকেট দিয়ে যোগ দিচ্ছে। জয়কান্ত কুমার, প্রদ্যুম্ন কুমার নামে দুই পাকিস্তানি এখনও সেনায় রয়েছে। বর্তমানে ব্যারাকপুরে কর্মরত তারা।  অভিযোগ, খড়দা থানা সার্টিফিকেট দিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরও তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে।                     


চলতি মাসে হুগলির এসপি মগরার বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলাকারীর অভিযোগ শুনে, মারাত্মক অভিযোগ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। এদিন বিচারপতি নির্দেশ দেন, CID আগে মামলাকারী ওই ব্যক্তির অভিযোগ নেবে। সিবিআই ও কেন্দ্রকে মামলায় যুক্ত করতে হবে। যুক্ত করা হবে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি)-কেও।  CID ও অন্য সব পক্ষকে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে। ২৬ জুন পরবর্তী শুনানি। পাশাপাশি মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীকে প্রয়োজনে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?