সৌভিক মজুমদার, পার্থপ্রতিম ঘোষ, আশাবুল হোসেন, কলকাতা : মোমিনপুরের ঘটনার তদন্ত কি NIA করবে? সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ছাড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে SIT গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
এখনও ৪৫জন গ্রেফতার
খাস কলকাতার বুকে মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনার। তদন্ত কি ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা NIA করবে? এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ছাড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার তাঁর নির্দেশে জানিয়েছে, রাজ্যের রিপোর্ট এবং মামলার গুরুত্ব বুঝে NIA তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
এর পাশাপাশি, মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। নেতৃত্বে থাকা কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেছেন, 'এখনও অবধি ৪৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি ঠিক আছে, ঠিক থাকবে'।
ঠিক কী হয়েছিল
শনিবার রাতে ও রবিবার সন্ধেয় গোষ্ঠী সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুর! জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলায় এদিন, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে বলে, অপরাধীদের চিহ্নিত করা, তাদের উদ্দেশ্য জানা এবং এলাকার শান্তি বজায় রাখতে পদক্ষেপ করবে SIT। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের কাজও করতে হবে। যদি কেউ ঘরছাড়া হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে আরও বলে, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজন নেই।
অসন্তোষ প্রকাশ হাইকোর্টের
এর আগে, এদিন মোমিনপুরের ঘটনায় পুলিশের (Kolkata Police) ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশ NIA আইনের ৬ নম্বর ধারা কার্যকর করেছে কি না, তা জানতে চায় আদালত। রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি জানতে চান, ঘটনার পর স্থানীয় থানা কি রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে? সেই রিপোর্ট কি কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার?
তা না করা হলে, দুপুর ২ টোর মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় আদালত। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে এবিষয়ে জানাতে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, নির্দেশ কার্যকর না হলে, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ডেকে পাঠানো হতে পারে।
বোমা-অস্ত্র উদ্ধার
রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে বলা হয়, মোমিনপুরের ঘটনায় স্থানীয় থানা থেকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। ১৫টি তাজা বোমা, ৪টে ক্রুড বোম ও অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ৫টি FIR হয়েছে। হাইকোর্ট তার নির্দেশে জানিয়েছে, তদন্তের অগ্রগতি, সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং হবে, তা রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। রবিবার পর্যন্ত একবালপুর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- 'সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি! এবিপি আনন্দের হাতে সেই বহুচর্চিত OMR শিট!