সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : স্কুলের পর এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০২০ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে হলফনামা তলব। আগামী ১৩ অক্টোবরে মধ্যে যে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
'স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রবেশনারি মেরিট প্যানেল নম্বর বিভাজন-সহ প্রকাশ করা উচিত, কলেজ সার্ভিসের মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত', পর্যবেক্ষণ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay)।
'একজন চেয়ারম্যান সুবীরেশ এখন জেলে, পারলে একটু মনে করিয়ে দেবেন, দুর্নীতিতে নিমজ্জিতরা আপনাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কাজ সারে', পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha Chatterjee) দুর্নীতির কারণে জেলে, কমিশনের উদ্দেশে মন্তব্য হাইকোর্টের।
২০২০ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থী মোনালিসা ঘোষ হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রবেশনারি মেরিট লিস্টে শুধুমাত্র নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে কারোর কোনও নম্বর প্রকাশ করা হয়নি। লিস্টে ছিল না কোনও নম্বর বিভাজন। তাই ঠিক কোন ভিত্তিতে তিনি বাদ পড়লেন, সেটা জানতে পারেননি বলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই চাকরিপ্রার্থী।
হাইকোর্টে সওয়াল-জবাবের মাঝে কলেজ সার্ভিস কমিশনের (College Service Commission) আইনজীবী জানান, মেধা তালিকা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম নেই, তাই সেরকম কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যে দাবি শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বিচারপতি বলেন, স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রবেশনারি মেরিট প্যানেল নম্বর বিভাজন-সহ প্রকাশ করা উচিত। কলেজ সার্ভিসের মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত।
এরপরই নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি। বলেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য একজন চেয়ারম্যান ছিলেন যিনি এখন জেলে। একটু পারলে মনে করিয়ে দেবেন। দুর্নীতিতে নিমজ্জিতরা আপনাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কাজ সারে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও দুর্নীতির কারনে জেলে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন