কলকাতা: ফের ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তর মৃত্যু। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দার। এম আর বাঙুর হাসপাতালে বাঁশদ্রোণীর খানপুরের বাসিন্দার মৃত্যু। বেসরকারি মতে ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু। এখনও পর্যন্ত ৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্তর মৃত্যু বলে দাবি সরকারি সূত্রে। 


ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু: উত্তরোত্তর বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তে সংখ্যা। ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই। ভয় ধরাচ্ছে মৃতের সংখ্যাও। ফের কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গতকাল রাতে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রিয়া। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। 


চলতি সপ্তাহেই ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নবান্নের (Nabanna)। গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়তে পারে তেমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্য সচিব। ডেঙ্গি নিয়ে বিভিন্ন জেলার গুলির সঙ্গে বৈঠকে ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। গতকালের বৈঠকে বলা হয়, বাড়ছে হটস্পট, সব থেকে বেশি হটস্পট উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। পুর-এলাকার পর এবার পঞ্চায়েত এলাকাতেও বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রামে গঞ্জের বাজার, হাট গুলি পরিষ্কার করার প্রতি বিশেষ জোর দেওয়ার নির্দেশ নবান্নের। নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রশাসনকেও যুক্ত করতে হবে ডেঙ্গি সংক্রমণ আটকানোর জন্য। কমিশনার অফ পুলিশ এবং পুলিশ সুপারদের জমা জল বের করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ। পঞ্চায়েত গুলি গ্রামাঞ্চলের জন্য মাইক্রো প্ল্যান তৈরি করবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। রোগীদের কিভাবে চিকিৎসা হবে তার জন্য এসওপি তৈরি করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তা দেওয়া হবে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। 


ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্য়র্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে শুভেন্দু অধিকারীর বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২২ জন বিজেপি বিধায়ক। স্মারকলিপি দিতে বাধা দিলে পুলিশকে ধমক দেন তাঁরা।একসময় নিজেই প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়েন শুভেন্দু। পরে নিজেদের আনা গাড়িতে বিজেপি বিধায়করা স্বাস্থ্য ভবন ছেড়ে চলে যান। অশান্তি এড়াতেই গেট আটকানো হয় বলে পুলিশের দাবি। 


আরও পড়ুন: Migrant Worker Death: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে রাজ্যের এক পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু