সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন, অর্থাৎ SIR নিয়ে মামলায় এবার নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। কেন ২০০২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে SIR হবে, কেন ২০২৫ সালের তথ্যের ভিত্তিতে হবে না, সেই মর্মে আদালতে সওয়াল করেন মামলাকারীর আইনজীবী। সেই নিয়েই কমিশনের হলফনামা চাইল আদালত। (SIR in West Bengal)

Continues below advertisement

কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনের হলফনামা তলব করেছে। এদিন যে মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হল, তাতে আবেদনকারী জানান, এই যে SIR হচ্ছে, তা ২০০২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে কেন হচ্ছে? কেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল কমিশন। ২০০২ সালের তথ্য অনুযায়ী হবে, কেন ২০২৫ সালের তথ্যের ভিত্তিতে হবে না? এর প্রেক্ষিতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য লিখিত আকারে জানতে চাওয়া হয়েছে। (Calcutta High Court)

অন্য দিকে, এদিন শুনানি চলাকালীন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট করে এও জানানো হয় যে, মামলাকারীর বক্তব্য ঠিক নয়। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। ২০০২ সালে শেষ বার SIR হয়েছিল। ফলে সেই ভোটার তালিকা দেখেই SIR-এর গোটা কর্মকাণ্ড, তা সংঘটিত হচ্ছে। ফলে মামলাকালীর বক্তব্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে কমিশন। তাদের সেই বক্তব্যই লিখিত আকারে পেশ করতে বলা হয়। 

Continues below advertisement

এদিম মামলাকারীরা আরও জানান, দিকে দিকে BLO-রা হুমকির মুখে পড়ছেন, আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা সরকারি কর্মী। তাই তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। এ নিয়ে যদিও কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। বরং ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানান, এঁরা সরকারি কর্মচারী। তাঁদের কী ভাবে নিরাপত্তা দিতে, হয় তা ভালভাবেই জানে সরকার। তাই আলাদা করে নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। 

মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, "আমাদের রাজ্যে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। নির্বাচন কমিশন বনাম রাজ্য সরকার। আর কোথাও এমন নেই। SIR শুরুর আগে BLO-দের উপর আক্রমণ হচ্ছে। কোনও নির্দেশিকা নেই। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আজ সময় চাওয়া হয়েছে। পর দিন থাকবেন ওঁরা। কিন্তু মূল কথা, ২০০২ সালের যে তথ্য, তা গৃহীত হবে কি হবে না, ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা থেকে তথ্য় নেওয়া হবে কি না। এ নিয়ে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে।"