সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে সিবিআই। 'তেহট্ট-র বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও তদন্ত  করবে সিবিআই।' নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখার হাত থেকে তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে। অবিলম্বে সিবিআইকে নথি হস্তান্তরের নির্দেশ আদালতের। তাপস সাহা সহ বাকিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে সিবিআই, নির্দেশ আদালতের। 


চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ: গত বছর, তাপস সাহার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। অভিযোগ বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা নিয়েছেন তাপস সাহা। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার হাইকোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার স্বপক্ষে কিছু নথি পাওয়া গেছে। এমন কিছু নথি সামনে এসেছে যার জেরে তদন্তে আগ্রহী সিবিআই।


এদিনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতির ফলে বহু চাকরিপ্রার্থী হয়রানির শিকার হচ্ছে, কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত হবে এটাই আদালত প্রত্যাশা করে এবং মানুষ যেন সেটা বুঝতে পারে। একই অভিযোগে দুটি পৃথক সংস্থা তদন্ত করলে ভিন্ন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে। সেটা সত্য উদঘাটনের পথে বাধা হতে পারে। অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী আধিকারিকের হাত বেঁধে রাখা হতে পারে। তাপস সাহার বিরুদ্ধে তদন্তে কেন তদন্তকারী আধিকারিকের সক্রিয়তা কমে যায় সেটা স্পষ্ট নয়। তাপসকে শুধুমাত্র ৪১এ ধারায় নোটিস দিয়েই থেমে গেছেন তদন্তকারীরা। একটা সময় পর্যন্ত দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা দুর্দান্ত কাজ করেছেন। তদন্তকারী আধিকারিকের যোগ্যতা নিয়ে কোনও সংশয় আদালতের নেই। কিন্তু তারপরেই হঠাৎ করে থেমে গেছেন তদন্তকারীরা। কেন তাপস সাহাকে গ্রেফতার করা হল না সেটা স্পষ্ট নয। পাশাপাশি বিচারপতি আরও বলেন, 'ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে কেন তাপসের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারা দেওয়া হল না? অভিযুক্তরা বেশিদিন বাইরে থাকলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করা ও তথ্য প্রমাণ নষ্টের সম্ভাবনা থাকে।'


আরও পড়ুন: Bhangar: ভাঙড়ে ছাই ঘেঁটে উদ্ধার মাইনিং ব্যবসা সংক্রান্ত নথি! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য